Thursday, May 9, 2024
HomeExclusiveDakshin Dinajpur | জাতীয় ক্রিকেট ‌অ্যাকাডেমিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের অঞ্জলি

Dakshin Dinajpur | জাতীয় ক্রিকেট ‌অ্যাকাডেমিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের অঞ্জলি

পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: ক্রিকেট (Cricket) খেলার খরচ জোগাতে একসময় দু’বিঘা জমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল পরিবারকে। কৃষক পরিবারের সেই মেয়ে আজ ন্যাশনাল ক্রিকেট ‌অ্যাকাডেমিতে (National Cricket Academy) সুযোগ পেয়েছে। বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেটে তার অভাবনীয় সাফল্য তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদকের সাহায্যে ‌অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছে জেলার মহিলা ক্রিকেটার অঞ্জলি বর্মন।

বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে ১০ কিমি দূরে গুটিন গ্রাম। সেখানেই অঞ্জলির বেড়ে ওঠা। ভালো পড়াশোনার জন্য সে শহরের আশুতোষ বালিকা বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়েছিল। নবম শ্রেণির পড়ুয়া অঞ্জলি সাত বছর ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ক্রিকেট খেলছে। তার চেষ্টা দেখে সংস্থাও তার পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলার হয়ে সম্প্রতি সে হরিয়ানাতে অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলে এসেছে। তার অতি দ্রুতগতির বোলিংয়ে হামেশাই ধরাশায়ী হয় ব্যাটাররা। তার এই প্রতিভা নজর এড়িয়ে যায়নি ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির। তাকে বেঙ্গালুরুতে ডেকে পাঠানো হয়। তখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয় তার।

অঞ্জলির পিছনে পরিবারের সমর্থনও ছিল প্রচুর। তার বাবা অসিত বর্মন ক্ষুদ্র কৃষক। দিল্লি, মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজও করেন। একসময় অঞ্জলির ঠাকুমার দু’বিঘা জমি বন্ধক রেখে মেয়ের ক্রিকেটের খরচ জুগিয়েছেন তিনি। এখন জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে যাওয়ার আশায় দিন গুনছে অঞ্জলি।

অঞ্জলির কথায়, ‘বাড়িতে মা, বাবা ও ঠাকুমা থাকেন। বাবা কৃষিকাজ করেন। মাঝেমধ্যে ভিনরাজ্যেও কাজে যান। আমি গ্রাম থেকে বালুরঘাটে গিয়ে স্কুল ও ক্রিকেটের কোচিং নিতাম। ডিএসএ আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।’

বাবা অসিত বর্মন বলেছেন, ‘ছোট থেকেই মেয়ের ক্রিকেটে আগ্রহ। তাই ওকে ক্রিকেটে দিয়েছি। কৃষিকাজের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আগে মুম্বইয়ে থাকতাম। এখন বাড়িতে আছি। আমাদের ইচ্ছে, মেয়ে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে খেলুক।’

ডিএসএ’র ক্রিকেট সচিব তন্ময় সমাজদারের দাবি, ‘অঞ্জলির মতো পেস বোলার খুব কমই আছে। বলে ওর ভালো গ্রিপ আছে। তার প্রতিভা বুঝে তাকে অতিরিক্ত কোচিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরামর্শ ও খুব মন দিয়ে শোনে। ওকে নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী।’

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ জানিয়েছেন, অঞ্জলির বেঙ্গালুরু যাওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। ফিজিও ডাক্তারের শংসাপত্র হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভবত সে সেখানে চলে যাবে।’

Kuhelika Barman
Kuhelika Barmanhttps://uttarbangasambad.com/
Kuhelika Barman is working as Sub Editor Since 2016. Presently she is attached with Uttarbanga Sambad Digital. She is involved in Copy Editing, Uploading in website and various social media platforms.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img

LATEST POSTS

Madrasa Result | দিনমজুরি করে সংসার চালান বাবা, আইএএস অফিসার হতে চায় দুঃস্থ পরিবারের...

0
রাঙ্গালিবাজনা: পরিবারে আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী। তবুও এবার পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষাপর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে দিনমজুরের ছেলে সাবির হোসেন। আলিপুরদুয়ার...

Road Accident | বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, জখম ২১

0
মাথাভাঙ্গা: যাত্রীবাহী বাস ও মালবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২১ জন। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা শহরের নবজীবন সংঘ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন মাথাভাঙ্গা...

HS Result 2024 | স্বপ্ন আইনজীবী হওয়ার, দরিদ্রতাকে হারিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে তাক লাগাল নাগরাকাটার...

0
শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: বাড়িতে অভাব নিত্যসঙ্গী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। বাবা হাটে হাটে সবজি বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালান। তাতে কি। জেদ...

C. V. Ananda Bose | ১ ঘন্টা ১৯ মিনিটের ফুটেজ প্রকাশ্যে, শ্লীলতাহানিকাণ্ডে কী বোঝাতে...

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজভবনের তরফে বুধবারই জানিয়ে দেওয়া...

HS Result 2024 | বাবা কৃষক, দারিদ্রকে জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেল...

0
সিতাই: দারিদ্রকে জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য সীমান্তের দুঃস্থ কৃষকের মেয়ের। সিতাই ব্লকের আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাউয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রাখি বর্মন। সিতাই হাইস্কুল থেকে...

Most Popular