মানিকচক: পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব সাঙ্গ হলেও বোমা ফাটা অব্যাহত বাংলায়। এবার বোমা ফেটে গুরুতর জখম হল এক নাবালক। জখম বালকের নাম কৃষ্ণ চৌধুরী(১০)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সংযোগস্থল মানিকচক চর এলাকায়। বাড়ির চালে একটি ব্যাগে বোমা মজুত ছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় নাবালককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও মানিকচক পুলিশের দাবি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল বাংলা নয় ঝাড়খণ্ড। তবে এই বিস্ফোরণ নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা জামাল শেখের বাড়িতে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জামাল শেখ ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন দুষ্কৃতি মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। এদিন দুপুরে মানিকচকের নারায়নপুর চর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ চৌধুরী গোরু চড়াতে যায় মানিকচক চর এলাকায়। গোরু চড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় জামাল শেখের বাড়ির গোয়াল ঘরের পাশে একটি বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে জিড়িয়ে নিচ্ছিল। এমন সময় সেই বাঁশের খুঁটি কোন ভাবে সরে যেতেই চালের ওপরে থাকা একটি ব্যাগ নীচে পড়তেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরন ঘটে। কেঁপে ওঠে আশপাশ এলাকা। ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় কৃষ্ণ। তার বুক পেট ও দেহের নিম্নাংশ ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। অনুমান করা হচ্ছে ব্যাগের ভিতরে দুটি বোমা মজুত রাখা ছিল।
জখম বালকের বাবা বুলু চৌধুরী ও মা সায়ন্তিকা চৌধুরী দুজনেই দিনমজুর। কৃষ্ণর জামাইবাবু হীরামন চৌধুরী দাবি করেন, যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির মালিক জামাল শেখ দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। আবারও ঝামেলা করার জন্য হয়ত বোমা মজুত করেছিল জামাল শেখের লোকেরা। সেই মজুত করা বোমা ফেটেই কৃষ্ণ আহত হয়েছে।
এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে একহাত নিয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। স্থানীয় সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘বোমা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সমস্ত কিছু ঝাড়খন্ড থেকে চোরাপথে মানিকচকে ঢুকছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। বোমা আগ্নেয়াস্ত্র সমস্ত কিছু বাংলা ঝাড়খণ্ডের বর্ডার এলাকায় লুক্কায়িত অবস্থায় রাখা হয় এবং সুযোগ বুঝে তা মানিকচকে পাচার হয়। আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি পুলিশি টহলদারির। যদি পুলিশ প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে আগামীতে আরও ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হবে মানিকচক’। যদিও মানিকচক থানার পুলিশের দাবি বিস্ফোরণ স্থল ঝাড়খন্ড।