রায়গঞ্জঃ কালীপুজোর পটকা কিনে না দেওয়ায় বাবা-মা’র ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল এক নাবালিকা। রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত বামুহা গ্রামে। ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মৃত নাবালিকার নাম নন্দিনী মহন্ত (১৩)। সে রায়গঞ্জের বামুহা হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজো উপলক্ষে বাবা-মায়ের কাছে বাজি ফাটানোর জন্য টাকা চেয়েছিল মেয়েটি। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। বাজি কেনার টাকা না পেয়ে এদিন বিকেলে শোয়ার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়। মৃত নাবালিকার বাবা রঞ্জিত মহন্ত বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মাঠে ধান কাটতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফাঁকা ছিল। বিকেলে ফিরে এসে দেখি শোয়ার ঘরের দরজা খোলা। ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মেয়ে। ওড়নার ফাঁস কেটে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালী পূজা উপলক্ষে বাজি ফোটানোর জন্য সকালে আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। বলেছিলাম কাজ করে আসি তারপর দেব। সেই সময় আমার স্ত্রী রেখা মহন্ত মেয়েকে বকাঝকা করে। সেই কারণেই হয়তো অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।