কিশনগঞ্জঃ কিশনগঞ্জের সঙ্গে নেপাল সীমান্তবর্তী টেরাগছ ব্লকের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল কনকই নদীর ওপর বাঁশের অস্থায়ী সেতু। শুক্রবার রাতে সেই অস্থায়ী সেতুটি কেউ বা কারা পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এর ফলে কিশনগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন টেরাগছ ব্লকের বাসিন্দাদের। বহুবছর আগে কনকই নদীর মাটিয়ারি ঘাটে স্থায়ী সেতু নির্মাণের শিলান্যাস হলেও আজ অবধি সেতুর নির্মানকাজ শুরু না হওয়ায় প্রতিবছরই যাতায়াতের জন্য গ্রামবাসীরাই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করেন।
শুক্রবার রাতে এই অস্থায়ী সেতু জ্বালিয়ে দেওয়ার ফলে সীমান্তের বাসিন্দারা বড়ই বিপাকে পড়েছেন। জেলাসদর কিশনগঞ্জের সঙ্গে টেরাগছ ব্লকের সহজে যাতায়াতের অন্যতম যোগসূত্র এই অস্থায়ী সেতুটি। সেতুটিকে পুড়িয়ে দেওয়ায় টেরাগছের বাসিন্দাদের কিশনগঞ্জ যেতে হলে আরারিয়া জেলার জউকিহাট হয়ে ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হবে। শনিবার মাটিয়ারি ঘাটের ঠিকাদার মহম্মদ সেহরুল আলম জানান, কেও শত্রুতা করে রাতের অন্ধকারে অস্থায়ী বাঁশের সেতু জ্বালিয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য এই ঘাটে বছর দশেক আগে ঢাক ঢোল পিটিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সেতু নির্মাণের শিল্যানাস করেছিলেন। সেতু নির্মাণ শুরু হলেও পাহাড়ী কনকই নদীর খামখেয়ালিপনায় বারবার সেতু নির্মাণের কাজে বাধা পাচ্ছে বলে বাস্তুকাররা জানিয়েছেন। যদিও আবার এইদিন গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রম ও শ্রমিকদের দিয়ে, বাঁশের অস্থায়ী সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।