শুভাশিস বসাক, ধূপগুড়ি: দোকানের সামনে হচ্ছিল অশালীন আচরণ। প্রতিবাদ করেন দোকানি। তার জেরে অশালীন আচরণ করা এক তরুণ যে কামড়ে কান ছিঁড়ে নেবে তা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। বুধবার রাতে এমন ঘটনা ঘটল ধূপগুড়ি স্টেশন বাজার চত্বরে। রাতেই ধূপগুড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুরু হয় তদন্ত। ওই রাতেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তরুণ ফেরার। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও তার হদিসে ব্যর্থ পুলিশ। থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, জখম ব্যবসায়ীর নাম বিনয় রায়। অভিযুক্তের নাম রসিদুল রহমান। সে বারোঘরিয়ার বাসিন্দা। অশালীন আচরণের শিকার তরুণ স্থানীয় এক চপ-সিঙ্গারার দোকানের কর্মী।
অভিযোগ, ওই কর্মী দোকানে আটা কিনতে এসেছিলেন। সে সময় রসিদুল তাঁর সঙ্গে মজা করার নামে প্রায়ই পিছন থেকে পরনের প্যান্ট টেনে খুলে দিচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় তাদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রকাশ্যে এভাবে প্যান্ট খোলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিনয়। এ সময় রসিদুল প্রথমে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে হাতের বুড়ো আঙুল ও নীচে বসে পড়তেই কানে তীব্র কামড় বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে বিনয়। চিৎকার-চ্যাঁচামেচি করলেও কান ছাড়েনি রসিদুল। স্থানীয়রা এসে রসিদুলকে সরাতেই দেখা যায় কানের ওপরের অংশ কামড়ে প্রায় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তড়িঘড়ি বিনয়কে বাইকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রক্তপাত বন্ধ করে জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আসে ধূপগুড়ি পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়িতেও যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বিনয়ের কথায়, ‘প্যান্ট খোলার প্রতিবাদ করায় কান কামড়ে নেয়। এভাবে যে কান ছিঁড়ে নেবে তা ভাবিনি।’ ধূপগুড়ির এসডিপিও গিলসেন লেপচা বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’