বনগাঁ: ‘ঠাকুরবাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, তিন মাস পর ফের আসব’, রবিবার ঠাকুরনগরে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। সেখানে সভায় অংশ নেওয়ার আগে তিনি ঠাকুরনগরে মতুয়াধাম বা ঠাকুরমন্দিরে পুজো দিতে আসবেন বলে সকাল থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে মন্দির চত্বর সাজানো শুরু হয়।
কিন্তু দুপুরে মতুয়াদের একাংশের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বচসা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অভিষেককে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি করা তোরণ। তৃণমূলের অভিযোগ, সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কর্তৃপক্ষ মূল মন্দিরের গেট বন্ধ করে দেয়।
বিকেলের দিকে ঠাকুরনগর পৌঁছোন অভিষেক। কিন্তু মূল মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। তবে পাশের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন অভিষেক। এরপর বাইরে এসে সরাসরি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘ঠাকুরবাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমি তিন মাস পর ফের আসব। পারলে আটকান।’
বিজেপি সাংসদকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বক্তব্য, ‘আপনি ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। আপনি ধর্ম বাড়িতে করুন, ঠাকুরবাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বড়মা (বীণাপানি দেবী) যতদিন বেঁচে ছিলেন, তখন বিজেপির কেউ খবর নেয়নি।’
অভিষেকের সংযোজন, ‘এখানে আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। শুধু পুজো দিতে এসেছিলাম। সেখানে ওরা যেটা করল, তা মানুষ মেনে নেবে না। উচিত জবাব দেবে।’