কলকাতা: সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিদেশ যাত্রায় বাধা দিয়েছে অভিবাসন দপ্তর। আবার এদিনই রুজিরাকে নোটিশ পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হেনস্তা করতেই রুজিরাকে আটকেছে ইডি। ক্ষমতা থাকলে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে দেখান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এমন চ্যালেঞ্জও ছোড়েন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
অভিষেক বলেন, ‘যে ঘটনা আজ ঘটেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, বর্তমান সরকার দেশের আইন মানে না। কারণ, আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিদেশযাত্রায় অনুমতি দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট গত ১৭ অক্টোবর জানিয়েছিল, আমাদের বিদেশ যাত্রায় বাধা নেই। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না।’
তৃণমূল সাংসদ আরও জানান, গত ৩ জুন তাঁর স্ত্রী ইমেল করে ইডিকে বিদেশ যাত্রার কথা আগাম জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘রুজিরাকে নোটিশ পাঠানোর হলে সেদিনই পাঠাতে পারত ইডি। কিন্তু তা করেনি। এদিন সকালে হেনস্তা করবে বলেই অপেক্ষা করছিল। রুজিরা তো বটেই, আমার তিন বছরের ছেলে আর ন’বছরের মেয়েও পার পেল না।’
রুজিরাকে বিদেশ যাত্রা বাধা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘দেশে ব্যানার্জি বাড়ির আইন চলে না। দেশের নিজের আইন রয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে ২ কিলোগ্রাম সোনা নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পরই রুজিরাকে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।’
এর জবাবে অভিষেকের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘কলকাতা বিমানবন্দরে তো পাহারা দেয় সিআইএসএফ। তারা অমিত শার অধীনে রয়েছে। অমিত শা সিসিটিভি ফুটেজ বের করে ২ গ্রাম সোনা ধরা পড়াও দেখাতে পারবেন কি, চ্যালেঞ্জ করছি।’
শুভেন্দুকে তোপ দেগে অভিষেক বলেছেন, ‘যাঁদের টিভি ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা রোজভ্যালি, সারদার থেকে টাকা নিয়েছেন, যাঁরা ত্রিপল বেচে টাকা তুলেছেন, তাঁরা কিনা নীতি পাঠ দেবেন? বাংলার সবচেয়ে বড় চোর হলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হলেন উনিই।’