উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে নিয়ে এসে প্রবীণদের নিয়ে চলার ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন। যদিও সুব্রত বক্সির এদিনের বক্তব্যকে সপাটে খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে নবীন প্রজন্মের তরফেই সওয়াল করেছেন। প্রতিষ্ঠা দিবসে ফের আরও একবার নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব সামনে এল।
১ জানুয়ারি সোমবার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে সুব্রত বক্সি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বস্তরের ভারতবর্ষের রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদক। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনে যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবে আমাদের ধারণা, উনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।’ আর এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কারণ এই মন্তব্যে ‘যদি লড়াই করেন’, ‘পিছিয়ে যাওয়া’–সহ নানা শব্দবন্ধ রয়েছে। সেই শব্দ গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। দলের একাংশের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে নিয়ে এসে প্রবীণদের নিয়ে চলার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুব্রত বক্সি।
সুব্রত বক্সির এদিনের বক্তব্য পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সভাপতিকে সম্মান করি। কিন্তু তাঁর বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি আছে। এটা কখনই কাঙ্খিত নয়। অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল হবে।’ এদিন নবীন প্রজন্মের হয়ে ব্যাটন ধরে বুঝিয়ে দিলেন অভিষেকের কথা শুনে চললে দলেরই মঙ্গল। তাতেই বিভক্ত হয়ে পড়ল দুই শিবির।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। একটা দূরত্ব দেখা গিয়েছে। গত শনিবার অভিষেককে বোঝাতে তাঁর কালীঘাটের অফিসে যান কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়রা। এরা প্রত্যেকেই ‘অভিষেক ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই পরিচিত। সূত্রের খবর, সেদিনের বৈঠকে দলের স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেককে ‘সক্রিয়’ হওয়ার আর্জি জানান কুণাল-ব্রাত্যরা। সবমিলিয়ে পারদ চড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।