উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছিলেন বীরভূমের এক তৃণমূল নেতা শিবঠাকুর মণ্ডল। যেই সময় ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে মামলা করেন শিবঠাকুর। তারই পুরস্কার দেওয়া হল শিবঠাকুরের স্ত্রীকে। করা হল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
১৪ আসন বিশিষ্ট বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে ৭টি তৃণমূল কংগ্রেস, ৬টি বিজেপি ও ১ টি নির্দল পায়। পরে নির্দল প্রার্থী যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করে শাসক দল। বৃহস্পতিবার প্রধান হিসাবে শপথ নেন লিপিকা মণ্ডল এবং উপপ্রধান হন সুনীল বাগদি।২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসবে দায়িত্ব পালন শিবঠাকুর মণ্ডল। এবারে প্রার্থী হন তার স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল।
উল্লেখ্য, যখন গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ইডি, ঠিক তখনই বীরভূমের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন শিবঠাকুর মণ্ডল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারনা অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকানোর জন্যই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রীকে প্রধান করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এলাকার বাসিন্দারা যোগ্যব্যক্তিকেই পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন।