নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশি দামে কয়লা আমদানির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এভাবে বিদেশে টাকা পাচারের প্রসঙ্গ সামনে এসেছিল। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া আটকে অনেকদিন ধরে। এবার এক রিপোর্টে দাবি, আবার সেই তদন্ত শুরু করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তদন্তকারী শাখা ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। এর জন্য সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে চায় তারা। ফেব্রুয়ারিতে আবেদনের শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। এর জন্য কয়লা ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সরঞ্জাম বেশি দামে আমদানি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছিল তারা। সেই পুঁজি ব্যবহার করে ফের ভুঁইফোঁড় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাকে দিয়ে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কেনানো হয়। ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের শাখা সংস্থার (আদানি গ্লোবাল) সঙ্গে আদানিদের লেনদেন সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে ডিআরআই। ওই সংস্থার মধ্যস্থতাতেই মালয়েশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়েছিল। যদিও আইনি লড়াইয়ের জেরে তদন্ত প্রক্রিয়া আর এগোতে পারেনি। এই দফায় শীর্ষ আদালতে ২৫ পাতার আবেদন দাখিল করে ডিআরআইয়ের দাবি, দু’দেশের আইনি সহযোগিতা চুক্তি অনুযায়ী সিঙ্গাপুর থেকে তারা নথি পেতে পারে। এবিষয়ে অর্থ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতি পেয়েছে তারা। এমনিতেই আদানি ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ শানাতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সম্মতি দিয়ে কেন্দ্র কী বার্তা দিতে চাইছে, সেটাই দেখার।