শিলিগুড়িঃ লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সবাই একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়লে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) কোনও ফ্যাক্টর হবে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শিলিগুড়িতে মমতার মন্তব্যের পালটা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন তিনি লোকসভা নির্বাচনে একপ্রকার একলা চলো নীতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের মন্তব্য নিয়ে গুঞ্জন ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ৪২টি কেন্দ্রেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল? সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪২টি আসনেই বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বহরমপুরে একজোট হয়ে লড়াই করার। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, একজোট হয়ে লড়লে বহরমপুরে অধীর কোনও ফ্যাক্টর হবে না। এই প্রসঙ্গে শনিবার শিলিগুড়িতে অধীর চৌধুরী একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি কাউকে পরোয়া করি না। লড়াই করতে জানি। লড়াই করেই এতদূর এসেছি। আগামীতেও লড়াই চালিয়ে যাব। কী করে লড়াই করতে হয় আমরা তা জানি। প্রয়োজনে লোকসভায় এবার একাই লড়াই করব।” অধীরের এদিনের মন্তব্যে স্পষ্ট এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ছেড়ে একলা চলো নীতিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে তৈরি হয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। এই জোটে সঙ্গী কংগ্রেস-তৃণমূল উভয়ই। কেন্দ্রে এই দুই দল সহযোগী হলেও বিরোধ রয়েছে বাংলায়। বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল বলেন, ইন্ডিয়া জোটে অনেক রাজ্যেই আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সেই জটিলতা কাটানো্র চেষ্টা চলছে। আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয় স্তরে। তবে আমাদের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিৎ বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ লড়াই করা। লক্ষ্য থাকা উচিৎ কী করে বিজেপির আসন কমানো যায়।
এদিকে, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ বাংলায় প্রবেশ করবে ২৫ জানুয়ারি। ২৬-২৭ জানুয়ারি কোনও কর্মসূচি থাকছে না রাহুল গান্ধির। এই দুই দিন ফালাকাটায় রেস্ট করার কথা রয়েছে রাগার। ২৮ জানুয়ারি রাহুলের ন্যায় যাত্রা শিলিগুড়ি পৌঁছানোর কথা।