ব্যুরো রিপোর্ট: কুর্মি সম্প্রদায়ের মানুষদের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত করার দাবির বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনের ডাকা বারো ঘণ্টা বাংলা বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এদিন সকালে রায়গঞ্জে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। সরকারি ও বেসরকারি বাসের পাশাপাশি ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল। বাজার ও দোকানপাট প্রায় বন্ধ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রায়গঞ্জ শহরে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বনধ সমর্থনকারীরা। পথচলতি সাধারণ মানুষকেও নাজেহাল হতে হয়। বনধে রাস্তায় নামেনি সরকারি বাস। তৃণমূলকেও রাস্তায় নেমে বনধের বিরোধীতা করতে দেখা যায়নি।
বনধের সমর্থনে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ডালখোলা থানার পাতনৌর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী বাহনগুলিকে বনধের আওয়াতার বাইরে রাখা হলেও এদিনের বনধের জেরে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় বাস যাত্রী থেকে শুরু করে পরিবহণকর্মীদের। আদিবাসীরা চাঁচল-সামসী ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের জিয়াগাছিতে পথ অবরোধে শামিল হন। সকাল ছটা থেকে অবরোধ শুরু হয়ে চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরেও বনধের ভালো সাড়া পড়েছে। শহরের সমস্ত দোকানপাট এদিন বন্ধ ছিল। বুনিয়াদপুর তিনমাথা ট্রাফিক মোড় থেকে মালদা, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জগামী রাস্তায় সকাল থেকে সরকারি বাস ও অন্যান্য যানবাহনের লাইন লেগে যায়। মালদা রোডে বেলা দুটো পর্যন্ত দশটি সরকারি বাস যাত্রীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। বেসরকারি বাস রাস্তায় চলেনি। চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সরকারি বাসে আসা যাত্রীদের। বাসের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে কেউবা টোটো করে অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। দোকানপাট খোলা না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের খাবারের সমস্যা হয়েছে। তীব্র গরমে নাকাল হন যাত্রীরা। বনধ থাকায় এদিন বুনিয়াদপুরের সমস্ত সরকারি অফিসে দূর দূরান্ত থেকে কর্মীরা আসতে পারেনি। স্বভাবতই সরকারি অফিসের কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বনধ ঘিরে এদিন সকাল থেকে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বিকেল পর্যন্ত এই পরিস্থিতির হেরফের হয়নি।