খড়িবাড়ি: প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে ভরাট করা পুকুরের মাটি না তুলে সেখানে কলা বাগান ও টিনের ঘর বানানোয় চাঞ্চল্য ছড়াল খড়িবাড়ি ব্লকে। বিষয়টি নজরে আসায় সোমবার ঘটনাস্থলে আসেন শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ, খড়িবাড়ির বিডিও দীপ্তি সাউ, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ক্লিমেন্ট খ্রিস্টফ ভুটিয়া প্রমুখ।
প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করায় ক্ষিপ্ত বিডিও বলেন, ‘অভিযুক্তকে আইনের তোয়াক্কা করতেই হবে।’ মঙ্গলবারের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিন তিনি খড়িবাড়ি বিডিও অফিসে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কিশোরীমোহন বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অভিযুক্তের মাথার উপর যত বড় হাত থাকুক না কেন, কোনও রেয়াত করা হবে না।’
খড়িবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরডোবায় ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আর্থমুভার ও ট্র্যাক্টর দিয়ে প্রয়াত বিমল সরকারের এক বিঘার একটি পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিমলের ছেলে ভূপেন্দ্রনাথ সরকার মূল অভিযুক্ত। গতবছর ২৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ সংবাদে খবরটি প্রকাশিত হবার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন কিশোরীমোহন ও ক্লিমেন্ট খ্রিস্টফ ভুটিয়া। সেদিন বিমলের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর দু’বার নোটিশ জারি করে। দীর্ঘ টালবাহানার পর ১২ জানুয়ারি হাজিরা দেয় অভিযুক্তরা। কোনও বৈধ নথি দেখাতে না পারায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ১৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের মধ্যে ভরাট করা মাটি তুলে নিয়ে পুকুরের আগের রূপ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা জমা করলেও মাটি তুলে পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশের তোয়াক্কা করেনি। ক্লিমেন্ট বলেন, ‘জরিমানা দিলেও পুকুরের মাটি না তুলে সেই জায়গায় কলা বাগান ও একটি টিনের ঘর বানিয়েছে। বিষয়টি সমস্ত স্তরে জানানো হয়েছে।’ এদিনও ভূপেন্দ্র বেপাত্তা ছিল। তবে মোবাইলে জানায়, সে বাইরে আছে। তার দাবি, ওটা নাকি পুকুরই নয়! তার কাছে নাকি সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।