খড়িবাড়ি: পুকুর ভরাটের খবর উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এ প্রকাশ হতেই পদক্ষেপ করল খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। মঙ্গলবার সকালে দপ্তরের উদ্যোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ-‘কোনওভাবেই জলাশয় কিংবা পুকুর ভরাট করা যাবে না’। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক শ্রেণির জমি মাফিয়া শিলিগুড়ি মহকুমাজুড়ে পুকুর ভরাট করে চলেছে। একইভাবে প্রশাসনের একাংশের মদতে খড়িবাড়ির পশ্চিম কেশরডোবায় ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেপরোয়াভাবে চলছিল পুকুর ভরাটের কাজ। এক বিঘা পরিমাপের একটি পুকুর ট্র্যাক্টর ও অর্থমুভার দিয়ে রাতদিন ভরাট করা হচ্ছিল। প্রথম উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর নজরে আসে বিষয়টি। খবর করতে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই পুকুরটি স্বর্গীয় বিমল সরকারের। বিমলবাবুর দুই ছেলে। একজন নকশালবাড়ির একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। অপর ছেলের নাম ভূপেন্দ্রনাথ সরকার ওরফে টুপন। ভূপেন্দ্র জমির জাল দলিল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। এই ভূপেন্দ্রই নাকি পুকুর ভরাটের নেতৃত্বে ছিলেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান কিংবা স্থানীয় প্রশাসন সব জেনেও কেন চুপ ছিল, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থলে আসেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ডেকে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অধিকারিককে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সোমবার খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে পুকুরটি জরিপ করেন। নদী থেকে বিনা রয়্যালটিতে কতটা বালি-পাথর তোলা হয়েছে, তার হিসাব করেন। এদিন অফিসে জমির মালিকানা ও জমির চরিত্র নির্ণয় হয়। খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের কাজে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তদন্তকারী রেভিনিউ অফিসার তাসি ভুটিয়া।