দেবদর্শন চন্দ, কোচবিহার: ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পর ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শহর ও শহরতলিজুড়ে ফ্লেক্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ব্যানার এখনও নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে। সর্বত্র এসব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় দৃশ্য দূষণ হচ্ছে। শহরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে শীঘ্র এগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত বলে পরিবেশপ্রেমীদের মত।
পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পরিবেশ বিশেষ গুরুত্ব পায় না। সেকারণে ভোটপর্ব মিটলেও ফ্লেক্স কিংবা পতাকা খোলার দিকে তাদের সেরকম নজর থাকে না। এর মধ্যে কালবৈশাখী এলে ফ্লেক্স কিংবা দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পড়বার আশঙ্কা থাকে। শহরের কেশব রোড, সিলভার জুবিলি রোড, পঞ্চরঙ্গি মোড়, সুনীতি রোড থেকে শুরু করে ব্যস্ততম বিশ্বসিংহ রোড সহ বিভিন্ন রাস্তাতেই রাজনৈতিক দলের পোস্টার, ফ্লেক্স, পতাকা, দেওযাল লিখন এখনও রয়ে গিয়েছে। ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহের কথা, ‘রাজনৈতিক দলগুলির উচিত ভোট শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে এগুলি পরিষ্কার করে দেওয়া। শহরের হেরিটেজের বিষয়টি প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে।’
রাসমেলা মাঠের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখা গেল মাঠের চারিদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা লাগানো। মোড়ের দিকে কিছুটা এগোতেই দেখা গেল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পোস্টার। একই পরিস্থিতি শহরের হরিশ পাল মোড়েও। সেখানে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ফেস্টুন ঝুলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘সবে তো দু’দিন হল। আমরা শীঘ্রই নির্দেশিকা দেব, তারপর ব্লক ধরে ধরে সেগুলি খুলে ফেলা হবে।’ বিজেপি নেত্রী মালতী রাভার কথা, ‘এতদিন প্রচারের পর সবাই ক্লান্ত। তবে ভোটপর্ব মিটতেই সেসব খোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমাদের পোস্টার, ফ্লেক্স পরিষ্কার করে ফেলা হবে। শহরের দৃশ্য দূষণ আমরা কখনোই চাই না।’
কোচবিহার মাউন্টেনিয়ার্স ক্লাবের সম্পাদক দিলীপচন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘কোচবিহারে ভোট শেষ হলেও রাজনৈতিক নেতারা এখনও আনন্দ-উল্লাসে মেতে রয়েছেন। আমার মনে হয় যেহেতু কালবৈশাখীর মাস তাই সেকথা মাথায় রেখে ফ্লেক্স ফেস্টুনগুলি শীঘ্র খুলে ফেলা উচিত। নিজের শহর কিংবা জেলার প্রতি নজর রাখা প্রার্থীদের কর্তব্য।’ এখন নেতাদের আশ্বাসে কতদিনে কাজ হয়।