Friday, May 3, 2024
Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গভোট মিটেছে ৫০ ঘণ্টা, আজও রাস্তায় জ্বলজ্বল করছে ব্যানার-ফেস্টুন

ভোট মিটেছে ৫০ ঘণ্টা, আজও রাস্তায় জ্বলজ্বল করছে ব্যানার-ফেস্টুন

দেবদর্শন চন্দ, কোচবিহার: ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পর ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শহর ও শহরতলিজুড়ে ফ্লেক্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ব্যানার এখনও নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে। সর্বত্র এসব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় দৃশ্য দূষণ হচ্ছে। শহরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে শীঘ্র এগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত বলে পরিবেশপ্রেমীদের মত।

পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পরিবেশ বিশেষ গুরুত্ব পায় না। সেকারণে ভোটপর্ব মিটলেও ফ্লেক্স কিংবা পতাকা খোলার দিকে তাদের সেরকম নজর থাকে না। এর মধ্যে কালবৈশাখী এলে ফ্লেক্স কিংবা দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পড়বার আশঙ্কা থাকে। শহরের কেশব রোড, সিলভার জুবিলি রোড, পঞ্চরঙ্গি মোড়, সুনীতি রোড থেকে শুরু করে ব্যস্ততম বিশ্বসিংহ রোড সহ বিভিন্ন রাস্তাতেই রাজনৈতিক দলের পোস্টার, ফ্লেক্স, পতাকা, দেওযাল লিখন এখনও রয়ে গিয়েছে। ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহের কথা, ‘রাজনৈতিক দলগুলির উচিত ভোট শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে এগুলি পরিষ্কার করে দেওয়া। শহরের হেরিটেজের বিষয়টি প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে।’

রাসমেলা মাঠের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখা গেল মাঠের চারিদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা লাগানো। মোড়ের দিকে কিছুটা এগোতেই দেখা গেল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পোস্টার। একই পরিস্থিতি শহরের হরিশ পাল মোড়েও। সেখানে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ফেস্টুন ঝুলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘সবে তো দু’দিন হল। আমরা শীঘ্রই নির্দেশিকা দেব, তারপর ব্লক ধরে ধরে সেগুলি খুলে ফেলা হবে।’ বিজেপি নেত্রী মালতী রাভার কথা, ‘এতদিন প্রচারের পর সবাই ক্লান্ত। তবে ভোটপর্ব মিটতেই সেসব খোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমাদের পোস্টার, ফ্লেক্স পরিষ্কার করে ফেলা হবে। শহরের দৃশ্য দূষণ আমরা কখনোই চাই না।’

কোচবিহার মাউন্টেনিয়ার্স ক্লাবের সম্পাদক দিলীপচন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘কোচবিহারে ভোট শেষ হলেও রাজনৈতিক নেতারা এখনও আনন্দ-উল্লাসে মেতে রয়েছেন। আমার মনে হয় যেহেতু কালবৈশাখীর মাস তাই সেকথা মাথায় রেখে ফ্লেক্স ফেস্টুনগুলি শীঘ্র খুলে ফেলা উচিত। নিজের শহর কিংবা জেলার প্রতি নজর রাখা প্রার্থীদের কর্তব্য।’ এখন নেতাদের আশ্বাসে কতদিনে কাজ হয়।

Sucharita Chanda
Sucharita Chandahttps://uttarbangasambad.com/
Sucharita Chanda is working as Sub Editor Since 2020. Presently she is attached with Uttarbanga Sambad. She is involved in Copy Editing, Uploading in website and various social media platforms.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img

LATEST POSTS

Father is a contract worker, Saurdwip's education is effected by financial problem

Madhyamik Result | বাবা ঠিকা শ্রমিক, সৌরদ্বীপের পড়াশোনায় অন্তরায় আর্থিক অনটন

0
জামালদহ: এক কামরার ভাড়া বাড়ি। পাশেই চলে রান্নাবান্না। বাবা ঠিকা শ্রমিক। বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে কিংবা হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেন। সেই কাজও স্থায়ী নয়। তাই...

Lok Sabha Election 2024 | উত্তর মালদা আসনে অঙ্ক মেলানো শক্ত সবারই

0
শুভঙ্কর চক্রবর্তী, মালদা: শশাঙ্ক  এবং গৌড়- এই দুইকে পৃথক করা সম্ভব নয়। তবে শশাঙ্কহীন গৌড় যে মণিহারা ফণীর মতোই তার প্রমাণ মেলে তাঁর মৃত্যুর...

Election campaign | বাবার কাজের খতিয়ান তুলে ফরাক্কায় প্রচার ইশার

0
ফরাক্কাঃ প্রচারের শেষলগ্ন। এক ইঞ্চিও বিরোধীদের ছাড়তে চান না কোনও প্রার্থী। শুক্রবারও কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খানের প্রচারে ফরাক্কায় সেই ছবিই ধরা পড়ল। বাবা ডালুবাবুর...
scammer caught stealing lakhs of rupees

Fraud | ঋণ নিয়ে বাড়তি টাকা ফেরত দিয়ে বিশ্বাস অর্জন, পরে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে...

0
শিলিগুড়ি: মহিলার বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারণা! ফেসবুকে পরিচয়ের পর ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় অভিযুক্ত যুবককে গয়না বন্ধক দিয়ে ১ লক্ষ টাকা পাঠান শিলিগুড়ির(Siliguri) এক...
85 percent in madhyamik Deependu wants to overcome poverty

Madhyamik Result | দরিদ্রতাকে হারিয়ে মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ, ভবিষ্যতে সংসারের হাল ধরতে চায় দীপেন্দু

0
গয়েরকাটা: দরিদ্রতাকে জয় করে মাধ্যমিকে(Madhyamik Result) ভালো ফলাফল করে নজর কাড়ল বানারহাটের বংশীবদন হাইস্কুলের ছাত্র দীপেন্দু রায়। দীপেন্দুর বাবা সুদেব রায় ভিন রাজ্যে পরিযায়ী...

Most Popular