উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় সোমবার বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেল। ফলে চাকরি গিয়েছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের এই রায়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৬ এপ্রিল রাজ্যে লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের। কারণ যারা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগেরই ভোটের ডিউটি পড়েছে। চাকরি যাওয়ার ফলে তাঁরা ভোটের ডিউটিতে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। যাঁদের চাকরি গেল, তাঁরা কি ভোটের ডিউটি করতে রাজি হবেন? এবং তাঁরা যদি ভোটের ডিউটি করতে রাজি না হন, তাহলে শেষ মুহূর্তে ভোটের ডিউটি করতে কাদের পাঠানো হবে? তাঁদের কমিশন কোন যুক্তিতে ভোটের ডিউটি করতে বলবেন? কারণ তাঁরা তো আর সরকারি কর্মচারীই নন।
নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুসারে, স্থায়ী সরকারি কর্মী ছাড়া অন্য কারোর ভোটের ডিউটি করার অধিকার নেই। সেক্ষেত্রে চাকরি হারানো কর্মীরাও ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় তা হলে প্রায় ২৬ হাজার জনের আপাতত চাকরি থাকবে। ভোটের আগে যদি সেই স্থগিতাদেশ আসে, সেক্ষেত্রে ভোটের ডিউটি করতে বাধ্য চাকরি হারানো কর্মীরা। চিন্তার ব্যাপার হল, রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট হল ২৬ এপ্রিল। এর মধ্যে সুপ্রিম কোনও নির্দেশ না দিলে কমিশন বিপাকে পড়তে পারে।