উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ২২ সেপ্টেম্বর গোরু পাচার মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এবার ফের ইডি দিল্লিতে তলব করল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ চারজনকে। এই তালিকায় রয়েছেন বোলপুর পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর, এক আইনজীবী ও পুরসভার দুই কর্মীকে।
গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক জামিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের সক্রিয় ইডি। এবার ইডি দিল্লিতে তলব করেছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও চারজনকে। ৩ অক্টোবর চারজনকেই দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, ইডি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তলবের নোটিশ ধরিয়েছে বোলপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিবনাথ রায় ওরফে ক্যাবলাকে। এই কাউন্সিলর অনুব্রত মণ্ডলের ওয়ার্ডেরই। পাশাপাশি নোটিশ পেয়েছেন বোলপুরের আইনজীবী গৌতম হাটি, বোলপুর পুরসভার কর্মী সুদীপ ভট্টাচার্য ও পরিবহণ বিভাগের কর্মী কাজল মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, এরা চারজনই কেষ্ট ঘনিষ্ঠ। ইডির দাবি নতুন ডাক পাওয়া পুর-প্রতিনিধি, আইনজীবী, পুর-কর্মচারীদেরও নানাভাবে ব্যবহার করেছে অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি কেনার প্রেক্ষাপটে চার জনের যুক্ত থাকার নথি মিলেছে। বোলপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে রয়েছে একাধিক জমি, বাড়ি, পুকুর, চালকল-সহ বহু সম্পত্তি। সেই সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের টাকার উৎস বা পদ্ধতি খতিয়ে দেখতেই তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বোলপুর পুরসভার পুর-প্রধান পর্ণা ঘোষের স্বামী তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ প্রথম থেকেই রয়েছেন ইডির ‘র্যাডারে’। বহুবার তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই গোরুপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার জামিন নিয়েও নানা জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু এরই মধ্যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চারজনকে ইডির তলব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।