উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ২২গজে ঝড় তুললেন ট্র্যাভিস হেড। ৬২ বল বাকি থাকতেই দুই ব্যাটারের তাণ্ডবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় লখনউ। ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ করে ফেলেন হেডরা।
ট্র্যাভিস হেড ছন্দে থাকা মানে, বিপক্ষের বোলারদের দুঃখের অন্ত নেই। বুধবার এমনটাই ঘটল হায়দরাবাদ-লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে। এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। কুইন্টন ডি’কক ৫ বলে করেন মাত্র ২ রান এবং মার্কাস স্টোইনিস ৫ বলে করেন ৩ রান। লোকেশ রাহুল এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া একসঙ্গে ৫ ওভার ক্রিজে কাটালেও, দু’জনের কেউই বড় শট খেলতে পারেননি। রাহুল ৩৩ বলে করেন ২৯ রান। ক্রুণাল আবার ২টি ছয়ের হাত ধরে ২১ বলে ২৪ রান করেন। ১১.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লখনউ করে ৬৬ রান। এরপর দলের কিছুটা হাল ধরেন নিকোলাস পুরান এবং আয়ুশ বাদোনি। তাঁরা দুজনে ৯৯ রানের জুটি গড়েন। বাদোনি ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ৫৫ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। পুরান ৬টি চার এবং একটি ছক্কার হাত ধরে ২৬ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁরা শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে লখনউকে ৪ উইকেটে ১৬৫ রানে নিয়ে যান। এদিন, হায়দরাবাদের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ২ উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছে প্যাট কামিন্স।
মাত্র ১৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিজে জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাঠে তাণ্ডব শুরু করেন হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। এদিন যে পিচে লখনউ রান করতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচোবনি খেয়েছে, সেই একই পিচে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা মিলে সুনামী বইয়ে দিলেন। শুধু চার-ছয়ের ফুলঝুরি। দুই ওপেনারের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে-তেই বিনা উইকেটে ১০৭ রানে পৌঁছে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। এর পর ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ করে ফেলেন হেডরা। পাওয়ার-প্লেতেই কার্যত লখনউয়ের কফিনে পেরেক পুঁতে দেন দুই ব্যাটার। ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান হেড। সঙ্গে দোসর হন অভিষেক শর্মা। ১৯ বলে তিনিও নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। ৩০ বলে ৮৯ করে অপরাজিত থাকেন ট্র্যাভিস হেড। হাঁকান ৮টি করে চার এবং ছক্কা। এদিকে ৮টি চার এবং ৬টি ছয়ের হাত ধরে ২৮ বলে অপরাজিত ৭৫ করেন অভিষেক শর্মা। সেই সঙ্গে এদিন প্লে-অফের জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলল প্যাট কামিন্সের দল। তারা উঠে এল পয়েন্ট টেবলের তিনে।
