রায়গঞ্জ: দোকানে সার মজুত থাকা সত্ত্বেও চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার ঠাকুরবাড়ি এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় দোকানের সামনে বিক্ষোভে শামিল হল অল ইন্ডিয়া কিষাণ খেতমজদুর সংগঠন (এআইকেকেএমএস)।
কৃষকদের অভিযোগ, চড়া দামে সার বিক্রি করছে। প্রতিবাদ করলে সেখান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছে সারের দোকানের মালিক। এবিষয়ে সংগঠনের হেমতাবাদ ব্লক সম্পাদক রুবিনা চৌধুরী বলেন, ‘ইউরিয়া সার বস্তা প্রতি দাম ২৬৭ টাকা। কিন্তু এখন দোকানদারেরা সেই বস্তার দাম চাইছে ৬০০ টাকা। ডিএপি ১,৩৫০ টাকা কেজি প্রতি। দোকানদারেরা সেই বস্তার দাম চাইছে ১,৭০০ থেকে ২০০০ টাকা। কালোবাজারি ছাড়া আর কি? আমাদের অন্য উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে চাষ করছি। কিন্তু এই চাষ করতে গিয়ে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি। সরকারি মূল্য ধার্য থাকলেও কালোবাজারি হচ্ছে গোটা জেলাজুড়ে। এই কারণে রবি শস্যের আবাদ করতে গিয়ে হাত পুড়েছে আমাদের। তাই বিক্ষোভে শামিল হয়েছি।’
সারের কালোবাজারির অভিযোগে ৫০ জন সার ব্যবসায়ীকে শোকজ এবং ৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি অধিকর্তা সফিকুল আলম। এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।