শিলিগুড়ি: শহরের মেয়ে না হয়েও শিলিগুড়ির(Siliguri) নাম দেশের সামনে তুলে ধরছেন রিতিকা ভার্মা। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরিচালিত সিভিল সার্ভিস-এর ফাইনাল পরীক্ষায় রিতিকা ২৫ নম্বর র্যাংক করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। বাবার কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বর্তমানে রিতিকার ঠাঁই হয়েছে শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়ার লেকটাউনের এক আবাসনে। শনিবার সেখানে গিয়ে পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ফুল, মিষ্টি দিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান।
ইউপিএসসিতে দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা তিনজন কৃতী পড়ুয়া ৫০০ নম্বরের ভিতর র্যাংক করেছেন। কিন্তু রিতিকার র্যাংকের বিষয়টি সামনে আসেনি। তার মূল কারণ অবশ্য মাত্র ন’মাস ধরে রিতিকারা বাবুপাড়ার আবাসনে রয়েছেন। তাই তাঁর সেভাবে এখনও পরিচিতি তৈরি হয়নি। পড়াশোনার জন্য রিতিকা দিল্লিতে ছিলেন। বিহারের পাটনার বাসিন্দা রিতিকার বাবা রাজেশ কুমার শিলিগুড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এর আগে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশে ছিলেন।
রিতিকা স্কুলের পাঠ শেষ করেন পাটনায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউস কলেজ থেকে অঙ্কে স্নাতক হন। এরপর আইআইটি মাদ্রাজ থেকে ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। গত চার বছর ধরে দিল্লিতে একটি কোচিং সেন্টারে রিতিকা ইউপিএসসির জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। কলেজে পড়ার সময় থেকে ইউপিএসসির জন্য তিনি নিজেকে মানসিকভাবে তৈরির করছিলেন। সাফল্য আসার ক্ষেত্রে যে অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে তা রিতিকার কথায় বারে বারে উঠে এসেছে। তাঁর যে ২৫ র্যাংক হবে তা তিনি কল্পনাতেও ভাবতেও পারেননি। এখন আইএএস হওয়ার লক্ষ্যে তিনি এগোতে চান।
তিনবার বিফল হলেও চতুর্থবারে সাফল্য তাঁর কাছে ধরা দিয়েছে। মেয়ের সাফল্য খুবই খুশি ভার্মা পরিবার। মা রজনী ভার্মা সংসার সামলান। মেয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তিনি সমস্তরকমের সাহায্যের চেষ্টা করেন। নিজের সাফল্যের গোটাটাই বাবা-মা পাশে থাকার ফল বলে রিতিকা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘দৈনিক আট থেকে দশ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি। ছেলেমেয়েরা যাতে বাড়িতে পড়াশোনা করতে পারে, অভিভাবকদের তেমন পরিবেশ তৈরি করা দায়িত্ব। বাচ্চারা যা পড়তে বা শিখতে চাইবে সেটা সুনিশ্চিত করাও দায়িত্ব। এতেই সাফল্যের সুযোগ বেড়ে যায়।’