উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালিঘাটের কাকুর ক্লাবেই এক সদস্যের হাতে মার খেলেন দাদা অজয়কৃষ্ণ। সেই ক্লাবে একটি মিটিং চলাকালীন এক সদস্যের সঙ্গে বচসা বাধে অজয়কৃষ্ণের। এরপরই তাঁকে বেদম প্রহার করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহালা উত্তরসূরী ক্লাবের একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন অজয়কৃষ্ণ। মিটিং চলাকালীন ক্লাবের এক সদস্যের দ্বারা আক্রান্ত হন অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। সেই সময় তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলেন অভিযোগ। মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। চোখের নীচেও গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর।
অজয়কৃষ্ণের অভিযোগ, ‘ক্লাবের সদস্য রাজু দাস নামে এক সদস্যের বিভিন্ন কুকীর্তি তিনি ক্লাবের সাধারণ সভায় তুলে ধরেন। তারপর ক্লাবে থেকে বেরোনোর সময় রাজু তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারতে থাকে। মুখে ও পিঠে ঘুষি মারে। ক্লাবের এক সদস্য তাঁকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রাজু দাসকে ক্লাবের কাজে নিয়োগ করেছিলেন তাঁর ভাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কেন এই মারধরের ঘটনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অজয়কৃষ্ণ ক্লাবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, তাঁকে মারধর করা হল, অথচ তাঁকেই ক্লাব থেকে বার করে দেওয়া হল।