উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আমূল বদলে তা নতুন করে চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। চলতি বছর মে মাসে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘ঔপনিবেশিক আইনের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারা এবং সাজার বিধানগুলি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।’ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিযেছে শীর্ষ আদালত। শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হলেও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, ‘অন্তত পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সংবিধান বেঞ্চ বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করবে।’
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা যাবতীয় ধারাগুলিকে পরীক্ষা করে পরিবর্তন করতে চাইছে কেন্দ্র। প্রক্রিয়াটি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর পরিবর্তন হলে ঔপনিবেশিক আমলের আইনের বিধানগুলির প্রয়োজনীয় বদল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা গত ১১ অগাস্ট বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে তিনটি বিল পেশ করেন লোকসভায়। এই বিল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত নতুন বিলে উল্লেখ রয়েছে, ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা এবং অখণ্ডতাকে যদি কেউ বিপন্ন করে তাহলে উপযুক্ত শাস্তি হবে। সেই বিল কার্যক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের তুলনায় অনেক বেশি ‘আগ্রাসী’ বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নয়া পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নতুন ভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই বিচার করবে।