বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: স্ত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা। ধৃতের নাম মহম্মদ সৈয়দ আখতার (২৪)। বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার শাসন সংলগ্ন গোগড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘ধৃতের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা, ধর্ষণ, গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় রায়গঞ্জ থানার পানিশালা এলাকার বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে সৈয়দের পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২২ সালে দুজনের মোহর হয়। বিয়ের পর তাঁরা দুজনে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। অভিযোগ, ওষুধ খাইয়ে স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করে সৈয়দ। দিল্লি সংলগ্ন গুরগাঁও এলাকায় সুইটি খাতুন নামে একজনের কাছে স্ত্রীকে বিক্রি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। এরপর যৌনপল্লিতে রায়গঞ্জের ওই যুবতীকে দিয়ে নানারকম অশ্লীল কাজকর্ম করতে বাধ্য করা হত বলে অভিযোগ।
অবশেষে চলতি বছরের জুনে জানালার কাঁচ ভেঙে যৌনপল্লি থেকে পালান ওই যুবতী। সেপ্টেম্বর মাসে স্বামী মহম্মদ সৈয়দ আখতারের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’