উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ চার ছাত্রী। নৃতত্ত্ব বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা এবং জাতিগত বিদ্বেষের অভিযোগ এনে নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করলেন চার পড়ুয়া।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের মার্চ মাসে চার ছাত্রী শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় জানানোর পর তা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা। চলতি বছর জুলাই মাসে এই অভিযোগে বিশ্বভারতীতে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন চার ছাত্রী। তাতেও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘অনশন বিক্ষোভের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল, তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। আমরা আতঙ্কে আছি। ব্যাক্তিগত জীবনে এবং পঠন পাঠনে প্রভাব পড়ছে। তাই কোনও উপায় না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি।’ এদিন এই চার পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রককেও ইমেল মারফৎ চিঠি পাঠান। এছাড়াও চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় ওবিসি কমিশন, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনকে অর্থাৎ ইউজিসিকেও।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’