শিলিগুড়ি: বালি তোলার কারণে আগেই নষ্ট হয়েছিল একটি সেতু। এখন বালি তোলা হচ্ছে নতুন সেতুর নীচ থেকেও। ফলে রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর সংলগ্ন চাওই নদীর নতুন সেতু নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। পিলারের একেবারে গোরা থেকে আর্থমুভার দিয়ে বালি তুলে লরি, ডাম্পার ও ট্রাক্টরে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কীভাবে এসব সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বালি মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশি যোগসাজশের অভিযোগও উঠছে। যদিও কোনও বেআইনি কাজ হচ্ছে না বলে দাবি পুলিশের।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ব্লক প্রশাসনের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকেই। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য নরেশ রায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।
তাঁর বক্তব্য, এভাবে পিলারের কাছ থেকে বালি তোলা হলে আগের সেতুটির মতো এই সেতুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতিমধ্যেই সেতুটির দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রান্তে ফাটলের চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। পুলিশ ঘুষ নিয়ে এসব কারবারে মদত দিচ্ছে। ব্লক প্রশাসনও এর সঙ্গে যুক্ত।
যদিও পুলিশের তরফে বিষয়টিকে বৈধ বলেই দাবি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার বলেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই বালি তোলার কাজ চলছে। প্রশাসনের সব স্তরেই বিষয়টি জানানো আছে। অন্যদিকে, রাজগঞ্জের জয়েন্ট বিডিও ডোমিত লেপচাকে এদিন ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ব্লক প্রশাসনের তরফে কোনও বক্তব্য মেলেনি।