উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে স্কুলে শিক্ষিকা পদে যোগ দিলেন অনামিকা রায়। চাকরিতে যোগ দিয়ে সাংবাদ মাধ্যমের সামনে দাড়িয়ে সর্বপ্রথম বললেন, ‘রাস্তায় আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা আমার মতোই কাজে যোগ দিক।’
মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি হাত ঘুরে এসেছে অনামিকার কাছে। প্রথমে সেই চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়ে ববিতা সরকার। পরবর্তীকালে সামনে আসে তাঁর জমা করা অ্যাকাডেমিক নম্বরে গন্ডগোল আছে। যার জেরে চাকরি যায় ববিতার। সেই চাকরি জুটে যায় অনামিকার ভাগ্যে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল যে, বৃহস্পতিবার অনামিকাকে যোগ দিতে হবে দেওয়া জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ে।কিন্তু এদিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত মেল না আসায় স্কুলে যোগ দিতে তিনই পারছিলেন না।এরপর অনামিকাকে ফোন করা হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। তারপর তিনি ছুটে যান জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ে।খাতায় সই করে যোগ দেন কাজে।
এদিন স্কুলে যোগ দেওয়ার পর সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনামিকা বলেন, ‘‘দীর্ঘ লড়াই আজ শেষ হল। অবশেষে কাজে যোগ দিলাম। এবং এরজন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়- সহ সমস্ত শুভানুধ্যায়ীদের কাছে ঋণী থাকব। এই চাকরির জন্য যারা আজও রাস্তায় আন্দোলন করে যাচ্ছেন তাদের মনস্কামনাও যাতে দ্রুত পূর্ণ হয়। তাঁরাও যাতে স্কুলে যোগ দিতে পারেন। মনেপ্রাণে সেটাই চাইছি।’’
পাশাপাশি রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজিৎ পাল বলেন, ‘‘স্কুল শুরু হওয়ার পর আমরা ডিআই-এর কাছ থেকে ইমেল পাই। এর পরপরই অনামিকা রায় আমাদের স্কুলে আসেন। উনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে স্কুলে যোগ দিলেন। আমাদের স্কুলে ১২০০ পড়ুয়া আছে। সেই অনুপাতে শিক্ষক কম। অনামিকাদেবী কাজে যোগ দেওয়ায় কিছুটা সুরাহা হোলো। তবে আমাদের আরও শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে।’’