উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২৪ ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও মোচপোলবাসীর আকস্মিকতার ঘোর কাটেনি। সোমবার সকালে ফের উদ্ধার হল আরও একটি দেহ। বিস্ফোরণস্থলের ঠিক পিছন দিক থেকে একটি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিনও সকালে দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে গতকালই পুলিশ উদ্ধার করেছিল একটি মাথা। অনুমান করা হচ্ছে বিস্ফোরণের অভিঘাতেই সোমবার উদ্ধার হওয়া দেহটি থেকে ছিটকে গিয়েছিল মাথাটি। এ ছাড়াও এলাকার একটি বাড়ির সামনে থেকে হাতের পাঞ্জা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণ স্থল হলুদ ফিতে দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইতিউতি পড়ে থাকা দেহাংশের পচন ধরে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এলাকায়।
কেটে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। পিছা ছাড়েনি আতঙ্ক। এখনও উদ্ধার হয়েই চলেছে দেহ। মোচপোল গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহাংশ। ভেঙেচুরে গিয়েছে বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের বাড়িঘর ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘরের মেরামতি কীভাবে হবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় অংশীদারি ছিল শফিকের। সূত্রের খবর, বাজি কারখানার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কেরামতও। এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯। আহত কমপক্ষে দশ জন।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে একটি অবৈধ বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সামসুল হকের জমি ভাড়া নিয়ে এই বাজির ব্যবসা ফেঁদেছিলেন কেরামত। সামসুলের বাড়ি লাগোয়া জমিতে দিনের বেলায় চলত ‘বাজি’ তৈরি ও প্যাকেজিং-এর কাজ। সামসুলও এই কারখানাতেই কাজ করতেন। বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে তাঁরও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয়দের নিষেধ সত্ত্বেও একপ্রকার গায়ের জোরেই এই ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেরামত। এই অবৈধ কারবারের পিছনে শাসকদলের কিছু প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশের একাংশের মদত ছিল বলেও অভিযোগ তাঁদের।