উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড় (Bhangar) থেকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam)। তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। আবার অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৃণমূলের (TMC) দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসেবে পরিচিত আরাবুল। নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে তাঁর নাম।
উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ আরাবুলকে গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতিই ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে। সেই সূত্রে উত্তর কাশীপুরও। বৃহস্পতিবার সেখানকার পুলিশই আরাবুলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে লালবাজারে আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশের একটি সূত্রে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ নেতাকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় তৃণমূল নেতা আরাবুলদের নামে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা এলাকা। নিত্যদিন বোমাবাজি, গোলাগুলি এবং সংঘর্ষ হয়েছে। তৃণমূল (TMC) এবং আইএসএফের (ISF) মধ্যে বারবার গণ্ডগোল হয়। আইএসএফের একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয়।
আবার পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ধানকল হাতিশালের মোড় থেকে অনতিদূরে ভগবানপুর অঞ্চলে একটি বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি কোম্পানি ওই অঞ্চলে ৪০ বিঘা জমি নিয়েছে। তারা নিজেদের জমির দখল নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীকালে আরাবুল ওই কোম্পানির থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নেয় পাঁচিল দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও পাঁচিল দিতে পারছিল না। এই গ্রুপের মালিক কালীঘাটে অভিযোগ করে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এদিকে গ্রেপ্তারি নিয়ে শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। তাঁর বক্তব্য, ভোটের আগে জামিন করিয়ে নেওয়া হবে। এগুলো সবই আসলে পরিকল্পনামাফিক ব্যাপার।
