ধানবাদঃ ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের ঝরিয়ার বিসিসিএলের ভোরা ফোর প্যাচে দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে অবৈধভাবে প্যাচ থেকে কয়লা খননের সময় চাল ধসে কমপক্ষে ১৫ জনের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা সবার প্রথমে সেখানে পৌঁছান। তারা প্যাচের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৫ জনকে। তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় তিন জনের। বাকি দুই জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। মৃতদের মধ্যে একজন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক রয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে এক মহিলা সহ এক শিশু কন্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।তবে মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতো শুক্রবার ভোররাত থেকে ধানবাদের ঝরিয়ার ভোরার জোড়াপোখার থানা এলাকার অন্তর্গত ভোরা ফোর প্যাচে প্রচুর মহিলা ও পুরুষ অবৈধভাবে কয়লা খননের কাজ করছিল। সেই সময় একটি পাথর খোঁড়া হতেই কয়লার চাল ধসে পড়ে। তাতে বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে। খনির ভেতরে চাপা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে প্রথমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগায় স্থানীয়রা। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চাপা পড়া লোকজনদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় ৫ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিআইএসএফ ও ভোরার জোড়াপোখার থানার পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিআইএসএফ, স্থানীয় থানার পুলিশ ও বিসিসিএলের একাংশ আধিকারিকদের মদতে এই প্যাচে অবৈধভাবে কয়লা তোলার কাজ হয় দীর্ঘদিন ধরে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই নিয়ে বারবার অভিযোগ দায়ের করা হলেও তাঁরা কোন পদক্ষেপ নেয় না।
অন্যদিকে, স্থানীয় পুলিশের গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, আগে সতর্ক হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।