রায়গঞ্জঃ স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার পাশাপাশি মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে প্রাণে মারার চেষ্টা করল স্বামী। রবিবার দুপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ইটাহার থানার কামালপুর গ্রামে। ওই বধুর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Raiganj Medical College & Hospital) ভর্তি করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইটাহার থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার (Itahar Thana) পুলিশ। জখম গৃহবধূর নাম পবেনা বেগম(২৫)। বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, আট বছর আগে ইটাহার থানার গোড়াহাড়ের বাসিন্দা পবেনা বেগমের বিয়ে হয় পেশায় রাজমিস্ত্রি আক্তার হোসেনের সঙ্গে। পবেনা বেগমও নির্মাণ শ্রমিক। তাদের দুটি নাবালক সন্তান রয়েছে। প্রথমদিকে সংসার ঠিকঠাক চলছিল। সম্প্রতি এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্বামী আক্তারের। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে তার ওপর নির্মম অত্যাচার করে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পবেনার।
এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতা বলেন, “আমার রোজগারের টাকাতেই সংসার চলে। আমার স্বামী যা ইনকাম করে তার সম্পূর্ণটাই খরচ করেন মদ জুয়া ও এক যুবতীর পেছনে। এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে আমার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার পর লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার চেষ্টা করে। গ্রামের বাসিন্দারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে। তার আগে ইটাহার থানায় নিয়ে যায়। আমি চাই স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এর আগেও একাধিকবার আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বিয়ের আগেও এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্বামীর। বিয়ের পর অনেক কষ্ট করে সেই সঙ্গ ছাড়িয়েছি। আমার পক্ষে ওর সঙ্গে সংসার করা সম্ভব নয়”।