খোকন সাহা, বাগডোগরা: সুযোগ পেলেই ১২ বছরের মেয়েটার ওপর যৌন নির্যাতন (Rape Case) চালাত বাবা। মা দু’-একবার প্রতিবাদ করেছেন বটে, কিন্তু উলটে মিলেছে হুমকি। বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দিনকয়েক আগে আত্মীয়ের বাড়িতেও চলে গিয়েছিল মেয়েটা। দু’দিন আগে বাড়ি ফিরতেই ফের শুরু হয় নৃশংস অত্যাচার। বৃহস্পতিবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে কিশোরীর। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন এই কাণ্ড। আর তারপরই বেদম প্রহার পড়ে বাবার ওপর। গণধোলাই দেওয়ার পর পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরা (Bagdogra) থানা এলাকায়। একেবারে শহরের গা ঘেঁষে এমন ঘটনায় তাজ্জব সকলেই।
রাতেই থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির মা। তিনি বলছেন, ‘দু’মাস ধরে মাঝেমধ্যে মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন করত ওর বাবা। বলার পরও শুনত না। আমরা বাড়িতে না থাকলেই এই কাণ্ড ঘটাত। ভয়ে মেয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না।’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়েছে। শুক্রবার মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ আরও ভয়ংকর। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা বর্মন বলছেন, ‘ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন চোলাইয়ের কারবার চলছে। তারাবাড়ির কারখানা থেকে চোলাই এনে এখানে বিক্রি করা হত।’ আরেক প্রতিবেশীর কথায়, ‘মেয়েটির মা প্রথম থেকেই সব জানতেন। কিন্তু সেই অর্থে প্রতিবাদ করেননি। গোটা বাড়িটাই নেশার আঁতুড়। সেখানে এমন কাণ্ড অস্বাভাবিক নয়।’
গতকাল দুপুরে নাবালিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মহিলারা প্রথমে এককাট্টা হন। তাঁরা প্রতিবাদ শুরু করলে পুরুষরাও শামিল হন। এরপরই মেয়েটির বাবাকে বাইরে এনে শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে বাগডোগরা থানার পুলিশ এসে জনতার রোষ থেকে তাকে উদ্ধার করে।