উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় ব্যালট পেপার বিভ্রাট। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় স্থগিত ছিল ভোট। আলিপুরদুয়ার পররপারে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে বিভ্রাটের অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ। যদিও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ভোটারদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের ব্যালটে কোনও ভুল না থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের যে ব্যালট তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল, সেটাতে ওই এলাকার কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরই নাম ছিল না। ফলে ভোটাররা ভোটগ্রহণের কাজে আপত্তি তোলেন। যদিও পরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, ফের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অন্যদিকে, হরিরামপুর ব্লকের ভবানীপুর বেজপুকুর বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ। ৮০০ ভোটারের মধ্যে পঞ্চায়েত সদস্যের ২৫০টি ব্যালট পেপার কম। সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য জয়নাল আবেদীনের বক্তব্য, ‘শুক্রবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আড়াইশো ব্যালট পেপার পোলিং অফিসারের কাছ থেকে নিয়ে চলে যান। শনিবার সকালে ব্যালট পেপার মেলানোর সময় বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আনার পরে দ্রুত জেলায় ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও পবিত্রা লামা।
আবার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর অঞ্চলের কেবল পাড়ার নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার বিভ্রাট। অন্য বুথের ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট করানো অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সকাল ১০টা থেকে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়টি পিসাইডিং অফিসার প্রীতম নারকেল জানান, বুথে রয়েছে মোট ৭১৬ জন ভোটার। এরমধ্যে ৭৯ জন ভোট দিয়েছেন। তার মধ্যে ৮ জন অন্য বুথের ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছেন। এরপর তিনি ভোট বন্ধ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। যদিও প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকার পর পুণরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
কুশমণ্ডি ব্লকের দেহাবন্দ বুথের পঞ্চায়েত সদস্যের ব্যালট পেপার আদ্যখন্ড বুথে চলে আসায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল। সকাল সাড়ে ১০টায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন ভোটাররা। বিডিও অমরজ্যোতি সরকার জানিয়েছেন, ব্যালট পেপার ছাপার কাজ চলছে। ভোটাররা বলেছেন রাতে ভোট দেবেন না। রিপোল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে প্রশাসনের একাংশের অভিমত।