সামসী: ফের ব্যালট পেপার উদ্ধার। এবার ঘটনা চাঁচলের মালতীপুরের। শুক্রবার বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচির জন্য দলীয় কর্মীরা মালতীপুরে গ্রন্থাগারের মাঠে জমায়েত হন। সেইসময় তাঁদের নজরে পড়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপাগুলির পেছনে স্বাক্ষর রয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারেরও। সেগুলি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
বিজেপির দাবি, ওখানে পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন বুথের ব্যালট পেপার পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যালটেই দেখা যাচ্ছে বিজেপির প্রার্থীর পক্ষে ভোট রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিরোধী দলের প্রার্থীদের পক্ষেও কিছু ভোট পড়েছে। খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশ এবং চাঁচল-২ এর বিডিও’র প্রতিনিধি গিয়ে সেই ব্যালট পেপারগুলি সংগ্রহ করে বিডিও অফিসে নিয়ে আসে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটে যে কারচুপি হয়েছে তা এই পড়ে থাকা ব্যালট পেপারগুলিই প্রমাণ করছে।
জানা গিয়েছে, চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির ৪, ৫ এবং ৬, ৮ নম্বর আসনের মালতীপুর এবং গৌড়হন্ড অঞ্চলের ব্যালট পেপারগুলি পড়েছিল সেখানে। পঞ্চায়েত সমিতির ওই সবকটি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বল্প ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এভাবেই চক্রান্ত করে তাঁদের হারানো হয়েছে। এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দল বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরবর্তীতে বিজেপির সাতজনের প্রতিনিধি দল বিডিও অফিসে যান। চাঁচল-২ এর বিজেপির কনভেনার আশিস দাস জানান, পুলিশ ব্যালট উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পর তাঁরা পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিডিও’র কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিডিও উপস্থিত না থাকায় ডেপুটেশন দেননি। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই বক্তব্য বাকি বিরোধী দলেরও। এবিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বক্তব্য, বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এইসব তাদেরই চক্রান্ত। চাঁচল-২ এর বিডিও দিব্যজোতি দাস জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।