উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ একুশে জুলাই। আনন্দের উৎসব। তাই আজ ভাঙড়ে ১৪৪ ধারায় ছাড়! নিজেই ঘোষণা করে দিলেন ভাঙড়ের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে পারছেন না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ভাঙড়ে। এই কর্মসূচীকে সফল করতে ১৪৪ ধারার মধ্যেই জমায়েত করে সভা করল তৃণমূল। এই নিয়ে একসুরে প্রতিবাদে সরব বাম – বিজেপি – কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে লাগাতার হিংসার অভিযোগে ভাঙড়ে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ের মাটি এখনও তপ্ত। দু একদিন পরপরই ভাঙড়ে চলছে গুলি ও বামাবাজি। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভারী বুটের আওয়াজ। গ্রামের গলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। মনোনয়ন পর্বের সময় যে অধ্যায় শুরু হয়েছিল ভাঙড়ের মাটিতে, তা এখনও অন্তহীন। এরই মধ্যে তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট। এই একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান সফল করতে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারার মাঝেই জমায়েত করে সভা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু তৃণমূলের জন্য যে আইন আলাদা তা নিজে মুখে স্বীকার করলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন।
একুশে জুলাইয়ের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন ভাঙড়ের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন। তিনি যাওয়ার সময় বলেন, “ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা আছে। কিন্তু তৃণমূলের মিটিং এর জন্য ছাড় আছে।” একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘ডিম ভাত বা বিরিয়ানির জন্য কেউ তৃণমূল করে না। আজ আমাদের আনন্দের দিন, শহিদ দিবস। তাই সব কর্মীরা আনন্দ করছে’।
এই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অবশ্য কোনও তৃণমূল নেতাই এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে শহর-রাজপথের ধারে যেভাবে দলীয় কর্মীরা তাস খেলেছেন, বনভোজন করেছেন, তাতে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এছাড়াও আসানসোল থেকে কলকাতামুখি গাড়িগুলিকে টোল না দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের রাজবাঁধ টোল প্লাজা থেকে। টোল প্লাজার এক কর্মী বলেন, আজ মিটিং আছে। অফিসের নির্দেশে দলীয় পতাকা লাগানো গাড়ি যেগুলি মিটিংয়ে যাচ্ছে তাদের টোল নেওয়া হচ্ছে না।