উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পেশায় অধ্যাপিকা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে। এমনটাই দাবি করেছে ইডি। প্রিয়দর্শিনী মল্লিক হলেন র্যাশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা। এমনকী বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবেও নাম রয়েছে তাঁর। এবার মন্ত্রী-কন্যার পদ নিয়েই শুরু হয়ে গেল টানাটানি। বালুকন্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে যাওয়ায় তাঁকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মতো প্রতিষ্ঠানের সচিবপদে রাখা যায় কিনা তা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি প্রিয়দর্শিনী সচিবের পদ হারাতে চলেছেন, শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও দুর্নীতির আঁচ লাগুক, তা চাইছেন না অনেকেই। এমতাবস্থায় প্রিয়দর্শিনীকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদে না রাখার দাবি উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই।
এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘মন্ত্রীর দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর মেয়ের নাম জড়িয়ে পড়েছে। টিউশন পড়িয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ। এমন একজনকে কেন সচিব পদে রাখা হবে?’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েই তো সচিব নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি কি কিছুই জানতেন না? জানলে কেন নিয়োগ করা হল?’ অবিলম্বে প্রিয়দর্শিনীকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রাক্তন সচিব দেবাশিস সরকারও সচিব পদে জ্যোতিকন্যাকে রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনও পদাধিকারীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উঠলে, লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর স্বার্থে তাঁর সরে যাওয়া উচিত। এমন কোনও ব্যক্তির কাজ করা উচিত নয়। অভিযোগ মুক্ত হওয়ার পর সসম্মানে কাজ করতে পারেন’। তবে প্রিয়দর্শিনী সচিব পদে থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনের শীর্ষ মহল।