বালুরঘাট: অসুস্থ পথকুকুরদের (Street dog) বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন এক পশুপ্রেমী (Animal lover)। তাঁর বিরুদ্ধে পথকুকুরদের আটকে রাখা ও এলাকা অপরিচ্ছন্ন করে তোলার অভিযোগ তুলে বালুরঘাট পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতিবেশী এক গৃহবধূ। ঘটনায় বিব্রত পশুপ্রেমী ব্রতীন চক্রবর্তী। তিনি ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে জাতীয় অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের দ্বারস্থ হন। ইতিমধ্যে তিনি মেইল করে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক মানেকা গান্ধি, বালুরঘাট পুরসভা সর্বত্রই অভিযোগ জানিয়েছেন।
বালুরঘাট (Balurghat) শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলি এলাকার বাসিন্দা ব্রতীন চক্রবর্তী। তিনি মানেকা গান্ধির সংস্থা পিপল ফর অ্যানিমালসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি ও জাতীয় অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের প্রতিনিধি। বিগত কয়েকবছর ধরে ব্রতীন চক্রবর্তী নানারকম পশু সংরক্ষণ ও পশুদের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদে লাগাতার লড়াই করছেন। সম্প্রতি, তিনি বেশকিছু অসুস্থ পথকুকুরকে তাঁর বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু পথকুকুরদের চিৎকার ও এলাকা অপরিচ্ছন্নতার কারণ দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেই বালুরঘাট পুরসভায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিবেশী এক মহিলা। তিনি বালুরঘাট পুরসভার কাছে এই ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন। আর এখানেই তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ব্রতীন চক্রবর্তী।
ব্রতীনবাবু বলেন, ‘আমি যেহেতু পশুদের নিয়ে কাজ করি, তাই জেলার যেখানেই পশুদের সমস্যা মানুষের নজরে আসে, তাঁরা আমায় ফোন করে জানান। আমি গিয়ে সেই পশুদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আমার বাড়িও একটা আশ্রয়স্থল। আমার বাড়িতে পশুদের রেখে চিকিৎসা করা হয়। এভাবেই রাস্তা থেকে প্রচুর অসুস্থ কুকুর আমি বাড়িতে নিয়ে এসেছি। কিন্তু প্রতিবেশী হয়রানি করে চলেছে। আমি এই অভিযোগ মানেকা গান্ধিকেও জানিয়েছি। পাশাপাশি অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডেও অভিযোগ দায়ের করেছি।’