পঞ্চানন্দপুর: গঙ্গার গতিপথ রুদ্ধ করে মালদার (Malda) কালিয়াচক-২ (Kaliachak) ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি ইটভাটা গজিয়ে উঠেছে। ওই বেআইনি ইটভাটা থেকে কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের তরফে প্রশাসনের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সব জেনেও নীরব প্রশাসন।
এদিকে পরিবেশে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন নদীর প্রবাহে বাঁধা তৈরি হচ্ছে, তেমনই গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। সর্বোপরি গঙ্গার ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই অবৈধ ইটভাটা কার নির্দেশে? অবৈধ কারবার কবে বন্ধ হবে তা নিয়েও কোনও মহলই সদুত্তর দিতে পারেনি। যদিও এ বিষয়ে সেচ ও জল সম্পদ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগ, গঙ্গার গতিপথে ইটভাটা অনুমোদন থাকার কথা নয়। তবুও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ কারবার ফুলে ফেঁপে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গঙ্গা নদীর পাড় কেটে মাটি জড়ো করা হয়। আর এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নদীর বুকের মাটি সহজে পেয়ে যান, এছাড়াও বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় না। শুধু কয়লা এবং শ্রমিক খরচেই কোটি কোটি টাকার কারবার হয়। এতে মুনাফা বেশি হয়। এছাড়াও ভাটার কয়লার ধোঁয়া থেকে পরিবেশেও দূষণ ছড়াচ্ছে।
মানিকচকের গোপালপুর থেকে শুরু করে কালিয়াচকের-৩ নম্বর ব্লক বীরনগর পর্যন্ত নদীর বুকে অবৈধ ইটভাটার কারবারে চলে। এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ বলেন, ‘যারা এ ধরনের অবৈধ ইটভাটা করে নদীর গতিপথে বাধা তৈরি করছে তাদের এক কথায় সমাজবিরোধী বলা যায়। তাদের মদত দিচ্ছে প্রশাসন ও সরকার। কেননা ইটভাটা তৈরি করতে গেলে অনেক ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। সেটা বাস্তবে তাদের কাছে নেই। সব ক্ষেত্রেই অরাজকতা চলছে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের (Sabina Yeasmin) সাফাই, ‘অবৈধ ইনভাটা আমরা অনুমোদন করি না। কোথাও যদি কোনও অভিযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ করব।’ আবার কালিয়াচক-২ এর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক দীপঙ্কর শিল বলেন, ‘নদীর তিরে ইটভাটা নিয়ে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’