পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: বালুরঘাটে শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে আত্রেয়ী খাঁড়ি। যা শহরের লাইফলাইন আত্রেয়ী নদী থেকেই বেরিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একসময় প্রশাসন এই খাঁড়িকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা থিতিয়ে যায়। প্রশাসনের উদ্যোগ সফল হলে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি হত বলেই দাবি সবার। যদিও পুরসভার (Municipality) তরফে খাঁড়ি সংস্কার নিয়ে ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শহরের আত্রেয়ী কলোনি থেকে শুরু করে গীতাঞ্জলি এলাকা হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে চলেছে আত্রেয়ী খাঁড়ি। একসময় পরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকলেও বর্তমানে তা কার্যত ডোবায় পরিণত। অধিকাংশ জায়গায় ঘন কচুরিপানা। শহরের একদম মধ্যে থাকা আন্দোলন সেতুর নীচে এই খাঁড়ি সংস্কার করে পর্যটনের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তৎকালীন জেলা শাসক নিখিল নির্মল। পুরসভার ও প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল এই এলাকা পরিদর্শন করেছিল। আশায় বুক বেঁধেছিল বালুরঘাটবাসী। এমনকি এই খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে বোটিং ব্যবস্থা চালু করার কথা শোনা গিয়েছিল। বলা হয়েছিল নৌকা বিহারের মাধ্যমে আয়ের পথ যেমন খুলে যেতে পারে, তেমনিই সাধারণ মানুষের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসাবেও উঠে আসতে পারে এই পর্যটন পরিকল্পনা। কিন্তু সেই পরিদর্শনই সার। তারপরে আর এই উদ্যোগ নিয়ে উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি।
পুরসভায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই খাঁড়ির দিকে নজর দেয় তৃণমূল বোর্ড। অবশেষে খাঁড়ি সংস্কার সহ একাধিক কাজে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বাজেট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের নজরেও আনা হয়েছে বিষয়টি। ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
ত্রিধারা এলাকার বাসিন্দা শান্তনু সরকার বলেন, ‘আন্দোলন সেতু দিয়ে যেতে আসতে এই খাঁড়ির দুর্দশা নজরে পড়ে। খাঁড়ির অধিকাংশ জায়গাই আবর্জনা ও কচুরিপানায় ঢেকে গিয়েছে। শহরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আত্রেয়ী খাঁড়ি দ্রুত সংস্কার করা উচিত। তার সঙ্গে পর্যটনের ব্যবস্থা হলে তো সোনায় সোহাগা।‘
পুরসভার এনসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ জানান, ‘আমরা মন্ত্রী মারফত সেচ দপ্তর থেকে শুরু করে রাজ্যেও আত্রেয়ী খাঁড়ি সংস্কার নিয়ে দরবার করেছি। ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য থেকে অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুততার সঙ্গে কাজে নামা হবে।’