বালুরঘাট: বাঁ হাতে স্যালাইন, ডান হাতে কলম। মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2024) শেষদিনে এভাবেই পরীক্ষা দিতে দেখা গেল বালুরঘাটের (Balurghat) দুই পরীক্ষার্থীকে। শনিবার জেলা হাসপাতালে (Hospital) বেডে বসেই ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা দিল নদীপার নরেশচন্দ্র হাইস্কুলের রাকেশ বাস্কে ও খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের রিয়া শীল। যদিও চিকিৎসক ও পরীক্ষকদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে তারা পরীক্ষা দিতে পেরেছে বলে জানিয়েছে।
বালুরঘাট শহরের সৃজনী এলাকায় বাড়ি রিয়া শীলের। সে খাদিমপুর গার্লসের এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার পরীক্ষার আসন পড়েছিল খাদিমপুর বয়েজ স্কুলে। প্রথমদিন থেকেই পরীক্ষা ভালোই দিয়ে আসছিল সে। হঠাৎই শুক্রবার তার নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। যদিও শারীরিক সমস্যা নিয়ে শুক্রবার জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় সে। কিন্তু তারপরে সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে। তৎক্ষণাৎ তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, বালুরঘাট ব্লকের মোস্তফাপুর গ্রামের পরীক্ষার্থী রাকেশ বাস্কে এনসি বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র। যার আসন পড়েছিল বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলে। শুক্রবার সকাল থেকেই তার আন্ত্রিক সমস্যা শুরু হয়। সেদিন পরীক্ষা দিলেও রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনসি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর লাহা বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে শুক্রবার আলাদা ঘরে পরীক্ষা দিয়েছিল রাকেশ। এদিন সকালে অসুস্থ জেনে সেন্টার সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সে এদিন হাসপাতালে ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।’ খাদিমপুর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুলভা মণ্ডল বলেন, ‘রিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করে অভিভাবক বিষয়টি আমাকে জানান। তৎক্ষণাৎ আমি মূল কেন্দ্র ও তার পরীক্ষা কেন্দ্রে জানিয়েছি। তড়িঘড়ি তারা ব্যবস্থা নেয়।’ ভেন্যু ইনচার্জ সুমন সেনগুপ্তর কথায়, ‘পরীক্ষা শুরুর আগে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রশাসনের সাহায্যে সুষ্ঠুভাবে তারা পরীক্ষা দিতে পেরেছে।’