মাদারিহাট: ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করতেই শুরু হয়েছে নেতা থেকে পঞ্চায়েত সদস্য-সকলের তৎপরতা। আর জব কার্ডধারীদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন কিছু নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, তাঁরা জব কার্ডধারীদের কাছে টাকার দাবি জানাচ্ছেন। বলছেন টাকা দিলেই মিলবে বকেয়া টাকা। এদিকে মাদারিহাট মেঘনাদ সাহা নগরের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তাপস সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, টাকা দেওয়ার প্রমাণ মিললে পাঁচ বছরে একদিনও এই প্রকল্পের কাজ ওই জব কার্ডধারী পাবেন না। অপরদিকে, মাদারিহাট প্রধাননগরে শুরু হয়েছে অন্য খেলা। এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য গোমাদেবী শর্মা (বিশ্বাস) জানালেন, তাঁর এলাকার কেউ কেউ টাকা তুলছেন। আমার নাম করা হচ্ছে। যারা এটা করছে তাদের ধরার চেষ্টায় আছি। ব্লকের যুগ্ম বিডিও বলেন, কেউ এরকম কাজ করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
১০০ দিন কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও জব কার্ড আপডেট করার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য উপভোক্তাদের জব কার্ড ও ব্যাংকের পাসবই জমা করতে বলা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। এই সুযোগ নিয়ে দালালচক্র ময়দানে নেমে পড়েছে। অভিযোগ, উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে তাঁরা বকেয়া টাকা পাবেন না এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
মেঘনাদ সাহা নগরের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তাপস সরকার জানালেন, আমি উপভোক্তাদের বলে দিয়েছি কেউ টাকা চাইলে যেন না দেওয়া হয়। আর দিলে যদি প্রমাণিত হয় তবে পাঁচ বছরে এই প্রকল্পের একদিনও কাজ ওই উপভোক্তা পাবেন না। আমার এলাকায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ কানে এসেছে।
সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে এর আগেও টাকা নিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ভূরিভূরি অভিযোগ রয়েছে। কাজে না গিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার পর অর্ধেক ভাগ হয়ে যেত। আবার ভুয়ো উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যেত। এবারেও সেই রাস্তা খুলে গেল বলে খুশি দালালচক্র।
মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের যুগ্ম বিডিও সুমন ঝা জানালেন, কোনও উপভোক্তা যেন প্রলোভনে পা না দেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। আর যদি কেউ এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে তার বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।