চ্যাংরাবান্ধাঃ উদ্বোধনের আগেই জেলা পরিষদের তৈরি স্টলের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে। তাদের অসন্তোষের কথা জানালেন এলাকা পরিদর্শনে আসা কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদকে। তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন।
চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দরে ট্রাক টার্মিনাস চত্বরে নতুনভাবে জেলা পরিষদের তরফে মোট ১১ টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্প্রতি এই স্টলগুলি বিলি করা হয়। রবিবার এই স্টলগুলির চাবি সংশ্লিষ্ট প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্টলগুলির শাটার খুলতেই দেখা যায় কোনও স্টলের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, অধিকাংশ স্টলের শাটার খুলতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ছাদের উপর জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্টল পাওয়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকেই বলেন, চালুর আগেই স্টলগুলির যা অবস্থা এতেই মনে হচ্ছে এখানে কাজের মান খুব খারাপ হয়েছে। অনেকে আবার বলেন, তৈরির পর থেকেই একটু বৃষ্টি হলে স্টলের ছাদে জল জমে থাকছে। দিনভর সেই জল চুইয়ে পড়ছে। টানা বৃষ্টিতে এক হাটু অবধিও জল দাঁড়িয়ে যায়। স্টলের সামনে কোনও শেড না থাকায় বৃষ্টির জল স্টলের ভিতরেও ঢুকে যাচ্ছে।
জেলা পরিষদের পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এদিন চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক টার্মিনাস চত্বরে নতুনভাবে তৈরি করা স্টলগুলির চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। স্টলগুলি যারা পেয়েছেন তারা এনিয়ে সামান্য কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশা করছি।” সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন,”স্টলগুলি তৈরির পর প্রায় দুইবছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। তাই একটু আধটু সমস্যা তৈরি হয়েছে। দপ্তরের বাস্তুকাররা বিষয়টি দেখেছেন। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে যাবে।”
এদিন চ্যাংরাবান্ধা বিডিও অফিসের কনফারেন্স হলে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ১১ টি স্টলের মধ্যে ৭ টি স্টল এবং একটি ডর্মিটরির চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের হাতে। এই অনুষ্ঠানে মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার, জয়েন্ট বিডিও উমোদ ইয়ালমু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।