গাজোল: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিন ব্লক গেটের ঠিক পাশেই ম্যারাপ বেঁধে এই কর্মসূচি শুরু করে গাজোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রায় ২৫ মিটার দূরে আলাদাভাবে আর একটি ধর্না মঞ্চ দেখা যায়। অনেক তৃণমূল কর্মীই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া উচিত ছিল।
তৃণমূলের নমঃশূদ্র এবং উদ্বাস্তু সেলের ব্যানারে আয়োজিত অপর ধর্না মঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নমঃশূদ্র এবং উদ্বাস্তু সেলের নেতা রঞ্জিত সরকার, তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মানিক প্রসাদ, আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, ব্লক সম্পাদক গৌর চক্রবর্তী সহ অন্যরা।
অন্যদিকে, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে আয়োজিত ধর্না মঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য সাগরিকা সরকার, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা আশিস বিশ্বাস প্রমুখ।
ছাত্রনেতা প্রসূন রায় বলেন, ‘রাজ্য থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ব্লক কমিটির ব্যানারে ধর্না মঞ্চ করতে হবে। এটি অফিসিয়াল ধর্না মঞ্চ। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি পাশে নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের ব্যানারে আরেকটি ধর্না মঞ্চ করা হয়েছে। ওই সংগঠনের তরফে রাজ্য বা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এটা করা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে একসঙ্গে হলেই ভালো হত।’
জেলা পরিষদ সদস্য সাগরিকা সরকার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘দলীয় অনুশাসন বলে একটা কথা আছে। আমাদের মূল সংগঠন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। তার বিভিন্ন শাখা সংগঠন রয়েছে। আমরা দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্র-যুব-মহিলা সবাই এই ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়েছি।’
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই আলাদা আলাদা ধর্না মঞ্চ কিনা। এবিষয়ে তৃণমূল নমঃশূদ্র এবং উদ্বাস্তু সেলের নেতা রঞ্জিত সরকারের সাফাই, রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪টি শাখা সংগঠনের মধ্যে উদ্বাস্তু সেলও একটি শাখা। তাই তাঁরা আলাদা করে ধর্নায় বসেছেন। এতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।