উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ‘বুকের উপর থেকে পাথর সরে গেল, প্রায় দেড় বছর পর যেন হাসতে পারলাম’ নিজের আইনজীবী শোভা গুপ্তার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ শোনার পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর ৩ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে দুস্কৃতীরা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত।
মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২২ সালে বাকি ১১ জন ধর্ষক ও খুনি মুক্তি পায়। ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট বিলকিসকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনে দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল গুজরাত সরকার (Gujrat Governament)। এর পর আদালতের সম্মতিতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। জেলে ওই ১১ অপরাধীর ব্যবহার দেখেই তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সরকার।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের প্রবীণ নেত্রী সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল এবং অধ্যাপক রূপরেখা বর্মা সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই এদিন ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ছাড়া পাওয়া ১১ অভিযুক্তকে ফের জেলে পোড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই রায় শুনেই চোখে জল নিয়ে নিজের সন্তানদের জড়িয়ে ধরেন বিলকিস। জানান, মনে হচ্ছে যেন বুকের উপর থেকে পাহাড়ের মতো একটা পাথর সরে গেল। এখন আবার আমি শ্বাস নিতে পারব। সুপ্রিম কোর্টকে অকুন্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিলকিস।