নকশালবাড়ি: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের উপর চাপ বাড়াতে একের পর ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সদ্য পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতা ফিরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে শুরু করেছেন ধর্না। রাজধানী শহরে যখন এভাবে ধীরে ধীরে ভোটের উত্তাপ বাড়ছে ঠিক তখনই নকশালবাড়িতে নির্বাচনি প্রচার শুরু করলেন গোর্খা জনমুক্তি নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)।
শনিবার নকশালবাড়ি ব্লকের বেলগাছি, জাবরা, নিরপানিতে প্রচার চালান তিনি। ছোট ছোট সভা করে স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগ সারলেন। তারই মধ্যে এদিন ফের গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি তুললেন তিনি। সভায় গুরুং জানান, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে পাহাড়ের মানুষের কঠিন পরিস্থিতি দেখেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এবার যারা আমাদের দাবি মানবে, লোকসভায় আমরা তাদেরই সমর্থন জানাব। গত সাড়ে তিন বছর ধরে গোর্খাল্যান্ডের জন্য বনে-জঙ্গলে কাটিয়েছি। এই লড়াইয়ে যখন ফল মেলার সময় এল তখন পাহাড়ের গুটিকয়েক নেতা সেই দাবি ভুলে নিজ স্বার্থে রাজনীতি শুরু করলেন। গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায়ে পাহাড়ের সব জনজাতিকে ফের এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গুরুং জানান, নির্বাচনে জিততে না পারলেও হারাতেও পারব। সভায় টেট কেলেঙ্কারি, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় কেলেঙ্কারি নিয়ে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়। তিনি জানান, আমরা যশবন্ত সিনহা, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে জিতিয়েছি। কিন্তু রাজু বিস্টকে জেতাইনি। এদিন তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ছোট ভাবলে হবে না। একটা সভার অনুমতি দিলে পাহাড়ে এখনও আমি ঝড় তুলতে পারব।’