ঘোকসাডাঙ্গা: সাতসকালেই বাড়ির দরজায় হাজির বুনো। আর তাকে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরে জন্তুটির ছবি ক্যামেরাবন্দি করলেন গৃহস্থ। আর ক্যামেরা দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও বুনোটিও বেশ সাবলীল ঢংয়েই দিল পোজ! বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘটনা।
এদিন ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় দুটি বাইসন। পরে ঘুম পাড়ানি গুলিতে একটি বাইসনকে কাবু করা হয়। অন্যটির মৃত্যু হয় পাটখেতে। বাইসনের আক্রমণে হতাহতের কোনও খবর না পাওয়া গেলেও জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। মাথাভাঙ্গার রেঞ্জার সজল পাল জানিয়েছেন, বাইসনটিকে পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপরটির ময়নাতদন্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবেদন করলে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বুড়ি তোর্ষা নদী পেরিয়ে মাথাভাঙ্গা দুই ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচ কোলের গোড় এলাকায় চলে আসে দুটি বাইসন। সকাল ১০টা নাগাদ একটি বাইসন গিয়ে ঢোকে দুর্লভ বর্মন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে। উঠোনে ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিল বুনোটি। ক্যামেরা দেখে আবার পোজও দেয়!
লোকালয়ে বাইসন চলে আসার খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অপর বাইসনটি রেল লাইন পেরিয়ে উনিশবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুতারপাড়া এলাকায় চলে যায়। সেখানে ছোটাছুটি করে শেষ পর্যন্ত দীপক সরকারের পাটখেতে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই বাইসনটির মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, পাচ কোলের গোড়ে চলে আসা বাইসনটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করে ট্র্যাক্টরে পাতলাখাওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এলাকায় বাইসন ঢোকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাথাভাঙ্গা, পুন্ডিবাড়ি ও জলদাপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। এছাড়া ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশকর্মীরাও আসেন। তাঁরাই পরিস্থিতি সামাল দেন।