মাথাভাঙ্গাঃ ফের মাথাভাঙ্গা ব্লকে হানা দিল বাইসন। শনিবার সকালে বাইসনের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মাথাভাঙ্গা শহরে। এদিন সকালে পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকায় বাইসনটিকে প্রথম নজরে আসে স্থানীয়দের। ভিড় জমতেই সেটি চলে যায় মধ্যবাইশগুড়ি এলাকায়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাইসনটি পৌঁছায় বড় কাউয়ারডারা এলাকায়। আর সেখানেই শুরু করে তাণ্ডব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙ্গা বনদপ্তরের কর্মীরা। সেখানে পৌঁছে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বনকর্মীরা বাইসনটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করে। পরে সেটিকে নিয়ে গিয়ে সুস্থ করে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেন তাঁরা।
এদিন বুনোর গুঁতোয় জখম হন মধ্যবাইশগুড়ি এলাকার চার গ্রামবাসী। জখমরা হলেন অর্চনা সূত্রধর, ঊষারানী ভদ্র, মল্লিকা বিশ্বাস ও গৌতম বিশ্বাস। তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
জখম অর্চনা শীলের ছেলে সজল সূত্রধর জানান, “মা ছাগল আনতে বাইরে গিয়েছিল। সেই সময় বাইসনের আক্রমণে গুরুতর জখম হন।” ঊষারানী ভদ্রর ভাইপো সুব্রত দাস জানান, “চারদিকের চিৎকার শুনে পিসি বাইরে বের হযন। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইসনের হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি।”
বনদপ্তরের মাথাভাঙ্গার রেঞ্জ অফিসার সুব্রত দাস জানান, “সকাল ৬টা থেকে আমরা বাইসনটির গতিবিধির উপর রাখছিলাম। এরপর প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টার প্রচেষ্টায় বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। তারপর আর্থ মুভার দিয়ে সেটিক উদ্ধার করে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জখমরা সকলেই সরকারি সাহায্য পাবেন।”