বক্সিরহাট: ভোট মিটলেও পদ্মের অন্দরের কোন্দল মেটেনি। রবিবার রাতে দলীয় বৈঠককে কেন্দ্র করে বিজেপির(BJP) গোষ্ঠী সংঘর্ষে রক্তাক্ত বিজেপি কার্যালয়। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বক্সিরহাট(Bakshirhat) বাজার চত্বরে। ঘটনায় নাক ফাটলো দলীয় কনভেনারের, সংঘর্ষে জখম(Injured) হয়েছেন আরও চারজন। তুফানগঞ্জ ২ ব্লকে দলের বিধানসভার কনভেনার ও বিরোধী গোষ্ঠীর কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে চলে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, ভোটের এক সপ্তাহ আগেও শালবাড়িতে নির্বাচনি প্রচারে দলীয় প্রার্থীর উপস্থিতিতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির দুই গোষ্ঠী। সেইসময় দলের বিক্ষুব্ধদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিধানসভার কনভেনার। ভোটের সময় দলীয় তরফে বিষয়টিকে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে গতকাল রাতে বক্সিরহাট বাজার লাগোয়া বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে ভানকুমারী-১ অঞ্চলের অঞ্চল সমিতির বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন বিধানসভার কনভেনার বিমল পাল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের বিক্ষুব্ধ তথা তপশিলি মোর্চার মণ্ডল সম্পাদক স্বপন দাস। অভিযোগ, পার্টি অফিসের ভেতরে অপমানজনক কথাবার্তার পাশাপাশি কিল, ঘুষি মেরে স্বপনকে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই অভিযোগ উঠেছে দলের কনভেনার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্বপনের ছেলে ও তাঁর বন্ধুরা লাঠি, সোটা নিয়ে আচমকাই দলের কনভেনার সহ ঘনিষ্ঠদের এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে কনভেনারের। জখম হয়েছেন আরও চারজন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমলকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।
বিমল পাল জানান, অঞ্চল সমিতির বৈঠকে ডাকা হয়নি স্বপনকে। বৈঠক চলাকালীন স্বপন লোকজন নিয়ে এসে আচমকাই লাঠি, সোটা দিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তিনি সহ সঞ্জিত দেবনাথ, বাসুদেব সাহা গুরুতর জখম হয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন তিনি।
এই বিষয়ে স্বপন দাস বলেন, ‘কিছুদিন আগে আরএমসি নিয়ন্ত্রিত বক্সিরহাট মার্কেট কমপ্লেক্সের লোহার গ্রিল চুরি করে বিক্রি করেছিলেন দলের কনভেনার। সরকারি সম্পত্তি চুরির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাই ভোট মিটতেই পরিকল্পনা করে তাঁকে পার্টি অফিসে ডেকে মারধর করছে কনভেনার ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সহ সভাপতি নিরঞ্জন সরকার বলেন, ‘ভোটের আগে বিজেপির টাকা ভাগবাটোরা হয়েছিল। হয়তো দলের অনেকেই সেই টাকা পায়নি। তাই দলের কনভেনারের নাক ফাটিয়ে দিয়েছে দলের কর্মীরাই।‘