ফালাকাটা: সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপি সহ সব বিরোধী দলের কাছে এখন টাটকা ইস্যু। তাই এই ইস্যুতে লোকসভা ভোটের আগে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির হাইকমান্ড। সেই নির্দেশকে বাস্তবায়িত করতে শনিবার ফালাকাটায় বৈঠক করে বিজেপি। ‘গ্রাম চলো’র সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনাও বাড়ি বাড়ি প্রচারে তুলে ধরবে পদ্মশিবির। কিন্তু এর পালটা প্রচার কী হবে তা নিয়ে এখন ভাবনায় শাসকদল তৃণমূল। কারণ, সন্দেশখালির ঘটনা এখন জাতীয় ইস্যু হতে চলেছে। যদিও যতটা নেতিবাচক প্রচার হচ্ছে বাস্তবে সেরকম ঘটনা সন্দেশখালিতে যেমন হয়নি, তেমনি রাজ্যের উন্নয়নের নিরিখে ওই ঘটনা দাগ কাটবে না বলেই তৃণমূলের দাবি।তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সম্পাদক ঘনশ্যাম বর্মনের কথায়, ‘সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যতটা নেতিবাচক প্রচার হচ্ছে, ততটা সেখানে ঘটেনি। তাই বিজেপির অপপ্রচারে ফালাকাটার মানুষ কর্ণপাত করবে না।’ এদিন বিকেলে ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শিশাগোড়ের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে বিজেপি। তাই তৃণমূলের ফালাকাটা-২ অঞ্চল সভাপতি দীপক সরকারের বক্তব্য, ‘এখানে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের উন্নয়ন ‘শূন্য’। রাজ্য সরকারের তরফে ১০০ দিনের মজুরি প্রদানের ঘোষণা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দ বাড়ানো সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের পালটা প্রচারের বিষয় বিজেপির মধ্যে নেই।’ তিনি আরও জানান, তবে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচারের মূল হাতিয়ার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও রাজ্যের উন্নয়ন।
অর্থাৎ সন্দেশখালির ইস্যুকে এখানে শাসকদল গুরুত্বই দিতে চাইছে না। তবে এদিন পদ্মশিবিরের বৈঠকে সেই ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিজেপির মণ্ডল কার্যকর্তা, মোর্চা সভাপতি, শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ ও বুথ সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মণ্ডল সভাপতি ভবেশচন্দ্র বালো জানান, সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শিশাগোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। দলের নির্দেশে এখন ‘গ্রাম চলো’ কর্মসূচিতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেশখালির ঘটনা প্রচার করা হবে। এই মণ্ডলের বাকি বুথগুলিতে রবিবার থেকেই ফের ‘গ্রাম চলো’ কর্মসূচি শুরু হবে। তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘বিধায়কের উন্নয়নমূলক কাজ কিছু হয়েছে। তবে প্রশাসনিক অসহযোগিতায় যে সাংসদ, বিধায়করা পুরো কাজ করতে পারেননি তা সাধারণ মানুষেরও জানা।’