বালুরঘাটঃ বালুরঘাটের বিডিওর ঘরে ঢুকে চেয়ার ছুঁড়ে মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন পদ্ম নেতা সুভাষ সরকার। শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাট জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক শরন্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার ওই নেতার সাজা ঘোষণা করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই সুভাষ সরকারকে হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, একবছর আগে বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার নিজের ঘরে বসে কাজ করছিলেন। সেই সময় আসামী সুভাষ সরকার বিনা অনুমতিতে অসৎ উদ্দেশ্যে বিডিওর ঘরে ঢুকে চেয়ার ছুঁড়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেদিনই অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলা জেলা আদালতের দ্বিতীয় কোর্টের অতিরিক্ত নগর ও দায়রা বিচারকের এজলাসে ছিল। আজকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে ৪৪৭ ও ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার সাজা ঘোষণা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের অনাস্থা ভেস্তে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি প্রবল ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। বিজেপির অভিযোগ বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার শাসকদলকে সুবিধা করে দিতেই কায়দা করে বিজেপির ডাকা অনাস্থা ভেস্তে দিচ্ছেন। বিডিওর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে দাঁড়িয়েই করতে থাকেন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিজেপির তৎকালীন স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার বিডিও অফিসে ঢুকে বিডিওকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। ওই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে। প্রায় ৬০ দিন জেল হেপাজতে থাকার পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত ছিল।। ওই মামলায় গত ১১ মে আদালতে চার্জশিট গঠন হয়। এদিন দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব”। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আইনকে সম্মান জানিয়েই যে সাজা হবে তাই মানব”।