কালিয়াগঞ্জ: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গিয়ে দলবল নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা ছিল বিজেপি নেত্রীর। কিন্তু তাঁদের পরিকল্পনার কথা আগাম জানতে পারে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। মাঝরাস্তাতেই আটক করা হয় দুই সঙ্গী সহ ওই বিজেপি নেত্রীকে। বেশ কিছুক্ষণ থানায় বসিয়ে রেখে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে হেমতাবাদে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসভায় বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের উত্তর শংকরপুর এলাকার বিজেপি নেত্রী দিপালী বর্মন। পরিকল্পনামতো এদিন দুপুরে দিপালী নিজেদের স্বর্ণজয়ন্তী দলের টাকা তোলার নামে নাবালক ছেলে ও দুই সঙ্গী নিয়ে টোটোয় চেপে হেমতাবাদের উদ্দেশ্যে রওনাও দেন। আগাম খবর পেয়ে শহরের শান্তি কলোনি এলাকায় সেই টোটোর পথ আটকায় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দিপালী সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অবশ্য বিষয়টিকে নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপির গ্রাম সদস্য দিপালী বর্মনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
থানায় প্রথমে নিজেকে স্বর্ণজয়ন্তী দলের সম্পাদিকা দাবি করে দিপালী বর্মন বলেন, ‘আমাদের গোষ্ঠীর এক মহিলা ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেবেন। কালিয়াগঞ্জ শহরের একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা তুলতেই আমি এবং আমাদের স্বর্ণজয়ন্তী গোষ্ঠীর দলনেত্রী রত্না বর্মন, কোষাধ্যক্ষ সামিয়ারা বেগম আর ছোট ছেলে উত্তর শংকরপুর থেকে টোটোয় চেপে কালিয়াগঞ্জ শহরে আসছিলাম। হঠাৎ আমাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী তা জানতেই চাইলেও কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ কোনও জবাব দেয়নি।’